অনুষ্ঠান বাড়ির শেষ পাতে হোক কিংবা হোটেল রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়ার শেষে পৌঁছে যায় মৌরি। তবে মৌরি যে শুধুমাত্র মুখশুদ্ধির কাজ করে তাই নয় এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, আয়রন এবং কপারের মতো নানান খনিজ। যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই বর্তমানে অনেক ফিটনেস এক্সপার্ট ও নিউট্রিশনিস্টরা নিয়মিত মৌরি-ভেজানো জল খাওয়ার পরামর্শ দেন।
মৌরি
জল বানাবেন কিভাবে-
প্রথমে
এক চামচ কাঁচা মৌরি ভালো করে ধুয়ে নিন। এবারে এক গ্লাস জলে
সেই মৌরি ভিজিয়ে সারা রাত রেখে দিন। পর দিন সকালে
উঠে খালি পেটে জল থেকে মৌরি
ছেকে পান করুন। দেখবেন উপকারিতা পাবেন।
এবার
জেনে নিন মৌরি জলের সেসব উপকারিতার কথা-
> হজম
ক্ষমতা বাড়ায়-
যাদের নিয়মিত হজম কিংবা গ্যাস, অম্বলের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়ম করে পান করুন মৌরি ভেজানো জল। কারণ এতে থাকা উপাদান গ্যাস্ট্রো এনজাইম তৈরি করতে ও নিঃসৃত করতে সাহায্য করে। যার ফলে গ্যাস, অম্বল এবং অন্যান্য পৈটিক সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। পাশাপাশি হজমের ক্ষমতা বাড়ায়।
> উচ্চ
রক্তচাপের সমস্যা কমায়-
যারা
দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপের সামস্যায় ভুক্তভুগি তারা আজ থেকেই ট্রাই
করুন মৌরি জল। এতে থাকা পটাশিয়াম শরীরে রক্ত চাপের মাত্ৰা নিয়ন্ত্রণে রাখে। আর নিয়মিত এই
জল পান করলে ধীরে ধীরে কমে যাবে এই সমস্যা।
> শরীরকে
ডিটক্স রাখে-
মৌরি ভেজানো জল শরীরকে ডিটক্স রাখতে সাহায্য করে। অর্থাৎ এটি ব্লাড পিউরিফায়ারের কাজও করে।
> অতিরিক্ত
মেদ ঝরাতে সাহায্য করে-
জিরের
পাশাপাশি শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে মৌরির জুড়ি মেলা ভার। এটি মেটাবলিজম বুস্ট করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে খালি পেটে মৌরির জল খেলে কিছুদিনের
মধ্যেই কমবে বাড়তি ওজন।
> ঋতুস্রাবের
ব্যাথা দূর করে-
প্রতিটি মহিলারই ঋতুস্রাবেরসময় তলপেটে ও কোমরে কম বেশি ব্যাথা অনুভব করেন। তবে যাদের খুব বেশি ব্যথা হয় তারা অনেক সময়ই ওষুধ খেয়ে সাময়িক রেহাই পান। কিন্তু তাতে রয়েছে আলাদা ঝুকি। সেক্ষেত্রে যদি কোন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই পিরিয়ড ক্র্যাম্প থেকে মুক্তি চান, তাহলে ঋতুস্রাবের দিন গুলোয় দিনে দুই তিন বার মৌরি ভেজানো জল অথবা মৌরির চা পান করুন। এতে মুড সুয়িং-এর সমস্যাও অনেকটা কমে।
> এছাড়াও
রয়েছে নানান উপকারিতা যেমন-
১.
মৌরিতে যে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট আছে, তা
সাইনাসের সমস্যা দূর করে। ব্রঙ্কাইটিস ও কফের সমস্যা
দূর করে।
২.
চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়। কারণ মৌরিতে আছে ভিটামিন এ। যা চোখের
জন্য দরকারি। এটি গ্লুকোমা দূর করতে সক্ষম।
৩.
নিয়মিত মৌরি খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় মাত্রার জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি তৈরি হয়। এগুলি হরমোন ও অক্সিজেনের ভারসাম্য
রক্ষা করে। ফলে ত্বক ঠান্ডা হয়, ঔজ্জ্বল্য বাড়ে, ব্রন দূর হয়।