সুনীল ছেত্রী আর ভারত যেন একে অপরের পরিপুরক।এশিয়ান কাপের ২০২৩ এর বাছাই পর্বে সুনীলের জোড়া গোলে কম্বোডিয়া কে হারিয়ে যাত্রা শুরু করলো ভারত। কোচ ইগর স্টিমাচ অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ হওয়ার দরুন দলের দুই স্তম্ভ প্রীতম কোটাল এবং শুভাশিস বোসকে বাইরে রেখে দল সাজান। পূর্ব পরিকল্পনামাফিক আকাশ মিশ্র, আনোয়ার আলি, সুরেশ সিং, রোশন সিং, অনিরুদ্ধ থাপারা শুরু থেকেই আক্রমণাত্মকভাবে খেলতে শুরু করে। খেলার ১৩ তম মিনিটে ভারতীয় দল তাঁর ফল পায়।কোলাসো বামদিক থেকে উঠে গোলে শট নেওয়ার সময় কম্বোডিয়ার বরিস ককের কাছে অবৈধভাবে বাঁধা পান। রেফারী পেনাল্টির বাঁশী বাজালে, স্পটকিক থেকে গোল করতে ভুল করেনি বছর ৩৭-এর সুনীল।প্রথম গোলটি পেয়ে যাওয়ার পর ভারতীয় দল আরও তেড়েফুঁড়ে খেলতে শুরু করে। কিন্তু, কম্বোডিয়ার চিরাচরিত আলট্রা ডিফেন্সিভ ফুটবলের কাছে বারবার ভারতীয় দল আটকে যায়। ম্যাচের ৩২ মিনিটে ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজ এবং ৩৭ মিনিটে ছেত্রী সুযোগ তৈরি করলেও তা থেকে গোলের দেখা পায়নি ভারতীয় দল। এরপর ৪১ মিনিটে আকাশ মিশ্রের জোরালো শট কম্বোডিয়ার গোলকিপার রুখে দেন।প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে কম্বোডিয়া ফ্রি-কিক পেলেও কম্বোডিয়ান ফরওয়ার্ড কিও শকফেঙ তা থেকে গোল করতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কম্বোডিয়া দল আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করলেও ভারতীয় গোলকিপার গুরপ্রিত সিং সান্ধুকে পরাস্ত করতে পারেনি। কোচ স্টীমাচ অনিরুদ্ধ থাপা ও মনবীর সিং-এর জায়গায় যথাক্রমে সহাল আব্দুল সামাদ ও উদান্ত সিং-কে নামিয়ে মোক্ষম চালটি দেন।ম্যাচের ৫১ তম মিনিটে ডানদিক থেকে আসা ব্রেন্ডনের ক্রস ভারতীয় অধিনায়ক মাথা ছোঁয়ালেও তা বারপোস্টের উপর দিয়ে উড়ে যায়।তবে এর ঠিক নয় মিনিট পরেই সেই ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজের নিখুঁত ক্রস বারপোস্টের সামনে এলে, তা থেকে হেডে গোল করতে ভুল করেননি সুনীল ছেত্রী।দ্বিতীয় গোল খাওয়ার পর থেকে খেলার শেষ বাঁশি বাজার আগে পর্যন্ত প্রতিপক্ষ দল যুবভারতীতে ছন্নছাড়া ফুটবল খেলা উপহার দেয়। ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী জোড়া গোলের ফলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ৮২ গোলের মালিক হয়ে গেলেন। আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিও মেসি(৮৬)-কে ছুঁতে তাঁর এখনও ৪ গোল করতে হবে।