আয় করার অন্য পথ ইথেরিয়াম, ক্রয় করতে পারেন এই ডিজিটাল মুদ্রা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

ক্রমেই বাজারে অনুপ্রবেশ করছে ক্রিপ্টোকারেন্সি। ইথেরিয়াম এর মধ্যে অন্যতম। ইথেরিয়াম এখন বিশ্বের সবথেকে শীর্ষস্থানে থাকা ব্লকচেইন। 2015 সালে চালু হয় ইথেরিয়াম নামক ডিজিটাল মুদ্রা। অন্যান্য ব্লকচেইন এর মতন ইথেরিয়াম ইথার নামে একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি আছে। এখনো পর্যন্ত বিটকয়েন হলো বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি কিন্তু বিটকয়েন এর মতই অনেক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এই ইথেরিয়াম। ডিজিটাল হওয়ার কারণে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে থাকা যে কোন মানুষকে খুব অল্পসময়ের মধ্যেই পাঠানো যায়। অন্যান্য ডিজিটাল মুদ্রার মতই ইথেরিয়ামেও কোনো সরকারি হস্তক্ষেপ নেই। অবাধে ব্যবহার করতে পারে সাধারণ মানুষ। সারা বিশ্বব্যাপী মানুষ এখন ব্যবহার করছে ইথেরিয়াম এবং এর দ্বারা অর্থ প্রদান করছে। ইথেরিয়াম যেহেতু প্রোগ্রামেবল নতুন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে ব্যবহার করতে পারে। সারাবিশ্বে হাজার হাজার ডেভলপার বর্তমানে ইথেরিয়াম অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছে এবং তাদের লেনদেন প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। ইথেরিয়াম বর্তমানে বিশ্বের সবথেকে বৃহত্তম কমিউনিটি এবং সবথেকে অ্যাক্টিভ ব্লকচেইন। এখানে মূল প্রটোকল, ডেভেলপার , ক্রিপ্টোইকোনমিক গবেষক, মাইনিং সংস্থা, অ্যাপ ডেভলপার আছে।


ইথেরিয়াম নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন সরকারি সংস্থা বা কোম্পানি নেই। মূল প্রটোকল থেকে লেনদেনের জন্য যে কোন সময় অ্যাপ্লিকেশন পর্যন্ত সমস্ত কাজ করে এমন কন্ট্রিবিউট গুলি বৈচিত্র্যময় বৈশ্বিক কমিউনিটি সময়ের সাথে সাথে এই রক্ষণাবেক্ষণ এবং মান উন্নয়ন করে চলেছে।

ডিজিটাল মুদ্রার প্রযুক্তিতে অন্যতম ভার্চুয়াল মুদ্রা বিটকয়েন এবং এরপর স্থান করে নিয়েছে ইথেরিয়াম। ক্রিপ্টোকারেন্সি দুনিয়ায় এর পর এই বাজারে স্থান করে নিয়েছে ইথেরিয়াম 2013 সালে ভিটালিক বুটকারিন প্রতিষ্ঠা করে তার নামের এই ভার্চুয়াল মুদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সি তে ব্যবহার করা হয়। ইথেরিয়াম সাধারণত বিভিন্ন চুক্তির কাজে ব্যবহার করা হয় স্মার্ট কনস্ট্রাকসে ব্যবহার করা হয়। এই স্মার্ট কন্ট্রাক্টস লেনদেনের প্রটোকল বা প্রোগ্রাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে এর সাথে কাজ করে। বর্তমানে ইথেরিয়াম ভার্চুয়াল মুদ্রা জগতের 27% দখল করে রেখেছে। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতিবছর 1 কোটি 80 লক্ষ ইথার এর বেশিও উৎপাদন করা যায় না। ফলে বাড়ছে আরো চাহিদা। 2016 সাল থেকে ইথেরিয়াম নামক  ভার্চুয়াল মুদ্রার লেনদেনের শুরু হয়। ইথেরিয়াম সরাসরি বিনিয়োগ করা যায় না তবে বিনিয়োগ করা যায় ঈথের।


ইথেরিয়াম ক্রয় করার সবথেকে সহজ প্রক্রিয়া হল এই ডিজিটাল মুদ্রা প্রদানকারীর কাছে অর্থ অর্থাৎ টাকা পাঠিয়ে Binance যেসব দোকানগুলো তালিকায় আছে তা ক্রয় করা যায়। এরপর ওই স্ট্যাবল কয়েন গুলো ব্যবহার করে ইথেরিয়াম ক্রয় করা যায়। এছাড়াও ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড দিয়ে binance থেকে সরাসরি ইথিরিয়াম ক্রয় করা যায়। লক্ষ্য লক্ষ্য ক্রিপ্টো ব্যবহারকারীরা বিশ্বাসের সাথে তাদের লেনদেন করছে ইথেরিয়ামএ। Binance ওয়ালেট নিরাপদে সংরক্ষণ করে রাখা যায় এবং তাদের লেনদেন করা যায় এটি হলো একটি সুরক্ষিত মোবাইল ওয়ালেট। এখন অনেক ছোট ব্যবসায়ী এবং বড় ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ইথেরিয়াম পেমেন্ট গ্রহন করে। এটির সাহায্যে ট্রেড করা যায় সহজে। এটি ব্যবহারের ফলে যেমন লাভের মুখ দেখা যায় ঠিক সেরকমই ডিজিটাল লেনদেন ঝুঁকিপূর্ণ ও। তাই এত কিছুর পরেও সরকার এটিতে নিয়ন্ত্রণের বোঝা চাপাতে চাইছে। সরকারের ধারণা এতে লাভ হবে ব্যবহারকারীদেরই।

Journalist Name : Sagarika Chakraborty

Related News