পিএসজি
কোচ মাউরিজিও পোচেত্তিনো কে নিয়ে শুরু
হয়েছে টানা পোড়েন। জানা গেছে যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের
কোচ ওলে গানার সলস্কজের নিজের কোচ পদ থেকে বাদ
হওয়ার পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের
ম্যানেজমেন্ট মাউরিজিও পোচেত্তিনোর সাথে কথা বলা শুরু করেছে। তাছাড়াও পোচেত্তিনো পিএসজির কোচ হওয়ার পর থেকে কিছুতেই
ছন্দে ফিরতে পারছেন না। ফ্রান্স লীগের সহজ কিছু ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর থেকেই সমর্থকদের
দাবি উঠেছিল পোচেত্তিনো কে বাদ দেওয়ার,
যদিও পোচেত্তিনোর সাথে পিএসজির চুক্তি ২০২৩ পর্যন্ত। হয়তো এবার সেই ভাবনাই সত্যি হতে চলেছে, জিদানের সাথে কথাও প্রায় চূড়ান্ত হয়ে এসেছে।
ফুটবল বিশেষজ্ঞদের মতে পোচেত্তিনোকে শুরু থেকে কখনোই তার দলের সাথে তাকে সাবলীল বলে মনে হয় নি। তার দলে এত নামী তারকারা আছেন, যে কার বদলে কাকে খেলাবেন তা তিনি নির্ণয় করে উঠতে পারছিলেন না। উপরন্তু ওনার খেলার ধরনের সাথে পিএসজির খেলার ধরণ অনেকটাই আলাদা, উনি ছিলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের কোচ। টটেনহ্যাম-এ থাকা কালিন তিনি ট্যাকটিক্যাল খেলা, ডিরেক্ট ফুটবল এবং কাউন্টার অ্যাটাক এর ওপর নির্ভরশীল ছিলেন।
পিএসজি
তে এসে তার অনেকটাই ছন্দ পতন হয়েছে। এত দিনে পিএসজির
খেলা দেখে যা বোঝা গেছে
তারা নির্ভরশীল শর্ট পাস, ক্রিয়েটিভ প্লে মেকিং-এ , কিন্তু পোচেত্তিনো নিজে দলের সাথে কোনোভাবেই ফুটবল কেমিস্ট্রি টা কিছুতেই ফুটিয়ে
তুলতে পারছেন না। ফুটবল বিশেষজ্ঞদের মতে তার দলে এত নামি ফুটবলাররা
আছেন যে তিনি কিছুতেই
তার দলটিকে গুছিয়ে উঠতে পারছেন না।
জিনেদিন জিদান আগের মরসুমে লা লিগা টিম রিয়াল মাদ্রিদের কোচ ছিলেন। একসময় জিদান একই সাথে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, কারিম বেনজেমা, গ্যারেথ বেল, টনি ক্রুস, এবং সার্জিও রামোস এর মত বড় বড় প্লেয়ারদের কে একসাথে পরিচালনা করেছেন। আশা করা যায় যে ৩ বার উএফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী কোচ জিদানের পিএসজি কে পরিচালনা করতে খুব একটা বেগ পেতে হবে না।
সূত্র
অনুসারে জিদানের পিএসজি তে আসা প্রায়
চূড়ান্ত। তিনি পিএসজি তে এলে তার
পুরনো টিমের এক প্রধান খেলোয়াড়কে
পাবেন যার নাম হলো সার্জিও রামোস, যাকে পেলে তিনি পিএসজিতে নিজেকে আর ও ভালো
ভাবে মেলে ধরতে পারবেন। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর , কারিম বেনজেমার মত প্লেয়ারদের কে
কোচিং করানোর পর পিএসজিতে এলেও
মেসি, নেইমার, এমবাপের মত খেলোয়াড়দের কে
সামলাতে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।
ওপর
একটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে পোচেত্তিনো ম্যানচেস্টার
ইউনাইটেডকে পরিচালনা করার কোনো ইচ্ছা নেই, এক্ষণ তিনি এরকম কোনো প্রস্তাব পাননি। সলস্কজের চলে যাওয়ার পর থেকে ম্যানচেস্টার
ইউনাইটেডে কোচিং করাচ্ছেন মাইকেল ক্যারিক, যদিও তার কোচিংয়ে কিছুদিন আগেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ভিলারিয়ালের সাথে ২-০ গোলে
জয়লাভ করেছে। আপাতত ম্যানচেস্টার স্বস্তির নিঃশ্বাস পেলেও তাদের অ্যাসিসটেন্ট কোচ কতদিন ভালো পরিচালনা করতে পারেন তা নিয়ে সন্দেহ
প্রকাশ করছেই। এখন পুরোটাই সময়ের অপেক্ষা, আশা করা যায় যে গত এক
দু দিনের মধ্যে জিদান এবং
পোচেত্তিনো
নিয়ে ধোঁয়াশা কেটে যাবে।