#Pravati Sangbad Digital Desk:
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। অত্যধিক ওজন, অতিরিক্ত লবণ খাওয়া, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, মানসিক চাপ, উদ্বেগ, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার অন্যতম কারণ। এর কারণে স্ট্রোক, হার্টের সমস্যা, কিডনি রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনা খুবই জরুরি।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার অন্যতম উপায় হল নিয়মিত শরীরচর্চা বা যোগব্যায়াম করা। শরীরচর্চার অভ্যাস থাকলে অনেক রোগই ধারে-কাছে ঘেঁষতে পারে না। কিন্তু অনেকেই বুঝতে পারেন না, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঠিক কোন ধরনের ব্যায়াম করবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন যোগাসন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
উত্তানাসন
পদ্ধতি
প্রথমে হাত দু'টো আপনার শরীরের দুই পাশে রেখে একেবারে সোজা হয়ে দাঁড়ান। এবার হাত দু'টো সোজা অবস্থায় ধীরে ধীরে মাথার উপরে তুলুন। তারপর ধীরে ধীরে হাতগুলো নামাতে থাকুন এবং কোমর মুড়ে হাঁটু না বাঁকিয়ে সামনের দিকে একেবারে ঝুঁকে যান। কপালটা হাঁটুর কাছে আনার চেষ্টা করুন। দুই হাতের তালু যেন অবশ্যই মেঝেতে স্পর্শ করে। কয়েক সেকেন্ড এই ভাবে থাকুন। তারপর ধীরে ধীরে ওপরে উঠুন এবং স্বাভাবিক ভাবে দাঁড়ান।
বিপরীত করণী
পদ্ধতি
প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। তারপর পা দু'টো জোড়া করে যতটা সম্ভব ওপরের দিকে তুলুন এবং নিতম্ব দুই হাতের তালু দিয়ে ঠেলে ধরুন। পিঠের কিছুটা অংশ এবং কোমর তুলতে হবে, যেন মেঝেতে লেগে না থাকে। কোমর থেকে পা সোজা থাকবে। হাতের দুই কনুই দেহ বরাবর কাছাকাছি রাখুন।
অধো মুখ স্বনাসন
পদ্ধতি
প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়ান। এরপর হাতের তালু আপনার সামনের দিকে মেঝের ওপর রেখে মাথা নীচু করে সামনের দিকে বেঁকে যান। ধীরে ধীরে আপনার পা দু'টি পিছনের দিকে সরান এবং টানটান করুন। সাবধানে ভারসাম্য বজায় রাখুন যাতে পা এবং হাত একে অপরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। হাতগুলো সোজা রাখবেন। গভীর ভাবে শ্বাস নিন এবং ৩০ সেকেন্ডের জন্য অবস্থান ধরে রাখুন।
পশ্চিমোত্তানাসন
পদ্ধতি
প্রথমে পা দু'টো মেলে বসুন। তারপর হাত তুলে মাথার দুই পাশে ওপরের দিকে সোজা রাখুন। এবার ধীরে ধীরে হাত সামনের দিকে আনুন এবং কোমর থেকে ওপরের বডিও সামনের দিকে ঝোঁকান। হাতের দুই আঙুল দিয়ে দুই পায়ের বুড়ো আঙুল ধরুন এবং মাথা পায়ের ওপরে একেবারে ঝুঁকিয়ে দিন। হাতের কনুই দুটো মেঝেতে ছোঁয়াবেন। কিছুক্ষণ থাকার পর ধীরে ধীরে হাত তুলে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
বজ্রাসন
পদ্ধতি
এই বার শিড়দাঁড়া সোজা করে বসুন। সামনের দিকে পা দুটে ছড়িয়ে দিন।মনে রাখবেন, গোড়ালি ও শিরদাঁড়া সোজা রাখবেনে।হাত দু'টি উরুর উপর সোজা করে রেখে দিন।শরীরে অতিরিক্ত মেদ থেকে মুক্তি দেবে এই আসন, রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে।
এইবার একটা করে দু'পায়ে হাঁটু মুড়ে তার উপর বসুন।
শিশু আসন
পদ্ধতি
শিশুদের মতে হামাগুড়ি দেওয়ার ভঙ্গিকে বলা হয় শিশু আসন । এর জন্য আপনাকে মেঝেতে বসতে হবে।
এবার আস্তে আস্তে গোটা শরীরের ভার পিছনে নিয়ে পশ্চাদ্দেশ পায়ের গোড়ালির উপর রেখে দিন।আস্তে আস্তে কপাল মাটিতে ঠেকান।আপনার হাত দু’টো পিছনে নিয়ে গিয়ে তালু উল্টো করে পায়ের কাছে রাখুন। এই ভাবে ১-১০ পর্যন্ত গুণতে থাকুন।বিশেষজ্ঞদের মতে, মানসিক চাপ ও ক্লান্তি কমাতে সহায়তা করে এই আসনটি। দেহে রক্তসঞ্চালনের প্রক্রিয়াকেও স্বাভাবিক রাখে।
সুখাসন
পদ্ধতি
এই যোগ ব্যায়ামের ফলে শরীর ও মনে এক ধরনের সার্বিক ভারসাম্য আসে।মন ও মেজাজ ভালো থাকে। শিরদাঁড়া সোজা রেখে বাবু হয়ে বসুন।ধ্যানের ভঙ্গির এই আসন উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।
Journalist Name : SRIJITA MALLICK