স্টেশনে গিয়ে ভিড় ঠেলে টিকিট কাউন্টারে লাইন দেওয়া, স্মার্ট কার্ড রিচার্জ় করানো-সব ঝক্কির দিন এবার শেষ। ঘরে বসেই এবার আপনি কেটে নিতে পারবেন মেট্রোর টিকিট। কিউ আর কোড স্ক্যান করেই উঠে পড়তে পারবেন মেট্রোয়।
সম্প্রতি ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতে এই পরিষেবা চালু হয়েছে। দক্ষিণেশ্বর থেকে নিউ গড়িয়া পর্যন্ত ব্লু লাইনেও দ্রুত চালু হবে এই কিউ আর কোড পরিষেবা।
কলকাতা মেট্রো রেল এই নিয়ে প্রায় পাঁচ ধরনের ‘টিকেটিং সিস্টেম’পরিবর্তন করল।
১৯৮৪ সালে প্রিন্টেড কার্ড টিকিট দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল কলকাতা মেট্রো রেল। সেখান থেকে আজ ২০২৩-এ এসে মেট্রোরেল অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসেই কাটা যাবে মেট্রোর টিকিট। এই ৩৯ বছর টিকিট কাটার পদ্ধতিতে নানা বদল এসেছে। এবার সেই বদলই প্রদর্শনীর মাধ্যমে শহরবাসীর কাছে তুলে ধরবে কলকাতা মেট্রো রেল।
দেশের প্রথম মেট্রো রেল চালু হয় কলকাতাতেই। ১৯৮৪-তে পিচবোর্ডের তৈরি প্রিন্টেড কার্ড টিকিট দেওয়া হত। প্রায় ১২ বছর এই টিকিটে কোনও পরিবর্তন আসেনি। ১৯৯৬ সালে শুরু হয় ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ টিকিট ও টার্নস্টাইল গেট। টিকিট কাটার এই নিয়ম চলে ২০১১ পর্যন্ত। ২০১১-তে শুরু হয় টোকেন ও স্মার্ট কার্ড ব্যবস্থা। এখনও মেট্রো রেলে চড়লে আপনি টোকেন কেটে উঠতে পারেন ট্রেনে। তার সঙ্গে রয়েছে কুইক রেসপন্স কোড (QR Code)। এই সুবিধা চালু হয়েছে ২০২১ সালে। আর ২০২২ থেকে এসে গিয়েছে মেট্রো রেল অ্যাপ। দেশের অন্য কোনও মেট্রোয় টিকিটের এত বিবর্তন হয়নি।