এটাও সম্ভব! ঘি, মাখন খাবেন কিন্তু ওজন বাড়বে না! কীভাবে জানুন বিস্তারিত

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

ওজন কমাতে সঠিক ডায়েট প্ল্যান অনুসরণ করা জরুরি। তাইতো স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ সবার আগে তেল খাওয়া বর্জন করেন। বিকল্প হিসেবে তারা বেছে নেন ঘি অথবা মাখন। যদিও অনেকেরই ধারণা ঘি অথবা মাখন ওজন বৃদ্ধি করে। তবে ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। খাবারে কিছু পরিমাণে ফ্যাট রাখা অত্যন্ত জরুরি। কারণ খাবারে ফ্যাট না থাকলে শরীরের ফ্যাটও ঝরতে সময় লাগবে। এছাড়াও ভিটামিন ‘এ’, ‘ডি’ এবং ‘ই’ ঠিক মতো শরীরে কাজ করতে ফ্যাটের প্রয়োজন পড়ে।
তবে ওজন কমাতে ঘি নাকি মাখন, কোনটি বেশি কার্যকরী তা অনেকেরই প্রশ্ন। চলুন তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-
ঘি
১১৫ গ্রাম ক্যালোরি এবং ৯.৩ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে এক চামচ ঘিয়ে। যাদের দুধে হজমের সমস্যা হয় তাদের জন্য ঘি খুব ভালো। অনেকেই মনে করে ঘি খেলে ওজন বেড়ে যায়। বিষয়টা সত্যি নয়। এই জন্য বিভিন্ন ডায়েটে ঘি ব্যবহার করা হয়। ভিটামিন ডি, ‘কে’ এবং ‘এ’ রয়েছে ঘিয়ে। হজমশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে ঘি। তবে মেপে খাওয়া উচিত ঘি।
মাখন
এক চা চামচ মাখনে ১০০ গ্রাম ক্যালোরি এবং ১২ গ্রাম ফ্যাট থাকে। মাখনে ভিটামিন ‘এ’, ‘ই’, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ক্যালশিয়াম রয়েছে। মাখন শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর এই ধারণা একদম ভুল। মাখনে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটে থাকে। তাই এটি নিয়মিত মেপে খেলে ওবেসিটি এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কম থাকে। এমনকি কিটো ডায়েটের নানা ধরনের কিটো রেসিপিতে মাখন লাগে। ফ্যাট এবং স্বাদ— দুই-ই যোগ হয় খাবারে।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল’–এর বিজ্ঞানীদের মতে সারা দিনে যত ক্যালোরি খাওয়ার কথা, তার ২০–৩৫ শতাংশ আসা উচিত চর্বি থেকে৷ তার মধ্যে ১০ শতাংশের কম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থেকে এলে, ক্ষতি নেই৷ বরং উপকার৷ এক চামচ ঘিয়ে থাকে ৯ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট, তা সারা দিনে যতটা খাওয়ার উর্দ্ধসীমা, তার ৪৫ শতাংশ৷ কাজেই দিনে দু’চামচ ঘি খাওয়া যেতেই পারে৷ আবার এক চামচ ঘিয়ে যে ৪৫ মিলিগ্রা কোলেস্টেরল থাকে, তা দৈনিক চাহিদার ১৫ শতাংশ৷ তা ছাড়া জানা গিয়েছে যে হাই কোলেস্টেরলের ধাত না থাকলে খাবার থেকে অল্পবিস্তর কোলেস্টেরল এলে কোনও ক্ষতি হয় না৷ ক্ষতি হয় পার্শিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল বা বনস্পতি খেলে৷ কারণ এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের সঙ্গে থাকে প্রায় ৪০ শতাংশ ট্রান্স ফ্যাট৷ অনেক সময় স্বাদ–গন্ধ মিশিয়ে এদেরই ‘দেশি ঘি’ বলে চালানো হয়৷ কাজেই ঘি খেতে ইচ্ছে হলে হয় ঘরে বানিয়ে নিন, নয়তো এমন জায়গা থেকে কিনুন যেখানে দুধের মাঠা তুলে বা মাখন জ্বাল দিয়ে ঘি বানানো হয়৷ উপকার পাবেন৷
গবেষণা বলছে, সুষম খাবারের সঙ্গে দিনে দু’চামচের কম দেশি ঘি আপনার ওজন কমাবে।এছাড়া  ক্যানসার, হৃদরোগ, ইসকিমিক হৃদরোগ প্রতিরোধ করবে ঘি।এছাড়া গরুর দুধে অ্যালার্জি থাকলেও সমস্যা নেই কারণ ঘি তৈরির সময় অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদান থাকে না।
সতর্কতা হলো তাই নিয়ম মেনে ঘি খান।নিয়মের বাইরে যাবেন না।আর ঘি কেনার আগে কোন জায়গা থেকে ঘি কিনছেন সে বিষয়ে সতর্ক হোন। ভেজাল ঘি এড়িয়ে চলুন।

Journalist Name : SRIJITA MALLICK

Related News