গতকাল অর্থাৎ 30 শে নভেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায় লোকসভায় জানান যে এই মুহূর্তে গোটা দেশজুড়ে এনআরসি করার কোন পরিকল্পনা রাখছেনা কেন্দ্র। 2019 এ দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করেছিল। 2019 এ 12 ই ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র এরপর 10 ই জানুয়ারি 2020 তে এটি কার্যকর হয়। এনআরসি নিয়ে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। অসমের চিত্র উঠে এসেছিল আমাদের কাছে উত্তপ্ত করে দিচ্ছিল সারা দেশকে। সারা ভারতের মধ্যে শুধুমাত্র অসমেই কার্যকর হয়েছে এনআরসি। 2019 সালে যে তালিকা প্রকাশিত হয় তাতে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল 3.3 কোটি। বাদ পড়েছিল প্রায় 19 লাখ 6 হাজার মানুষের নাম। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এই অসময়ে এনআরসি করা হয়েছিল সেই সূত্র ধরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন এনআরসি করা হবে।
এই দিনে লোকসভায় প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি জানান এ কথা। তবে তিনি জানিয়েছেন যে এনআরসি না হলেও এপিআর অর্থাৎ ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার করা হবে। হাজার 955 সালে সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট এর দ্বারাই এনআরসি চালু করা এবং তা আপডেট করার ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার তবে সেই প্রক্রিয়ায় কোনো নথি সংগ্রহ করা বা বহিরাগতদের খতিয়ে দেখার কোন উল্লেখ করা হয়নি। গোটা দেশে এনআরসি বা সিএএ এর প্রভাব কেমন হবে তা বিক্ষোভের আকার থেকেই ধারণা করে নেওয়া গেছিল। অসমের মানুষদের ওপর যে প্রভাব পড়েছিল তাতে উত্তপ্ত ছিল গোটা দেশই। বাংলায় বহু মানুষের আত্মহত্যার ঘটনা পর্যন্ত দেখা গেছে এনআরসি নিয়ে। চলেছে বহু রাজনৈতিক তরজাও। এই দিল লোকসভার বৈঠকে ইতি টানলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।