কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা কলকাতা মিউনিসিপ্য়াল কর্পোরেশনকে নির্দেশ দিয়েছেন যাতে ওই শিশুর জন্ম সংক্রান্ত শংসাপত্র পুনরায় ইস্যু করা যায়। বিচারপতি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে কারোর হাইপার টেকনিক্যাল হওয়ার দরকার নেই। পরিস্থিতির সঙ্গে ওই শিশু জন্ম সংক্রান্ত নথি সংশোধন করা দরকার। যদি প্রয়োজনীয় বদল করা হয় তবে আগামী দিনে ওই শিশু ও তার পরিবার আগামী দিনে অনেক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারেন। প্রতি নাগরিকের মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে বাঁচার অধিকার রয়েছে।
আসলে ওই আবেদনকারী মহিলা তাঁর শিশুর জন্ম সংক্রান্ত সার্টিফিকেট সংশোধন করতে চেয়েছিলেন। সেখানে তিনি বর্তমান স্বামীর নাম সংযুক্ত করতে চেয়েছিলেন। যাতে আগের বাবা বর্তমান সৎ বাবার কোনও আপত্তি না থাকে সেটা নিশ্চিত করার জন্য তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন।
এদিকে প্রাথমিক পুরসভা বিষয়টি মানতে চায়নি। এরপরই তিনি আদালতে যান। আসলে পুরসভার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল একবার বার্থ সার্টিফিকেটে শিশুর নাম ও তার বাবার নাম যুক্ত হয়ে গেলে সেই বাবার নাম বদল করা যায় না।
আদালত জানতে পারে ওই শিশু বর্তমানে তার মা ও সৎ বাবার সঙ্গে থাকে। আর ওই শিশু তার সৎবাবাকে তার নিজের বাবা হিসাবে মেনে নিয়েছে। এবার বার্থ সার্টিফিকেটে তার বাবার নাম পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেন ওই শিশুর মা। আর সেখানে মান্যতা দিল বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এদিকে ওই শিশুকে সন্তান হিসাবে মেনে নিয়েছেন বর্তমান বাবা। সেক্ষেত্রে শিশুটিরও সেভাবে কোনও সমস্যা হচ্ছে না।