Flash news
    No Flash News Today..!!
Sunday, May 12, 2024

বিতর্কিত চার ধাম আইনও প্রত্যাহার করলো কেন্দ্রীয় সরকার

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

ভোটের মুখে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা চারধাম দেবস্থান বোর্ড আইন প্রত্যাহার করলো উত্তরাখণ্ডের সরকার। ২০১৭ সালে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর চার ধাম নিয়ন্ত্রনে রাখে। ১৯৩৯ সালে থেকেই কেদারনাথ বদ্রিনাথ এবং আরও  ৪৫ টি মন্দির একসাথে পরিচালিত হতো এবং যার জন্য একটি সমিতি গঠিত হয়েছিল যার সভাপতিত্ব কোন সরকারের হাতে ছিল না। গঠিত সমিতির সভাপতিত্ব করতো সরকার এবং সিইও হতেল সরকারি কোন উচ্চকর্তা কিন্তু ২০১৯ সালে ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াতের মুখ্যমন্ত্রীত্ব উত্তরাখান্ড সরকারের পক্ষ থেকে ২০১৯ সালে ডিসেম্বরে রাজ্যের বিধানসভা উত্তরাখন্ড চার ধাম স্রাইন ম্যানেজমেন্ট বিল পেশ হয়। যা বিধানসভায় পাস হয়ে যায় এবং উত্তরাখণ্ড চারধাম দেবস্থান ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট, ২০১৯ প্রতিষ্ঠিত হয়।


এই বিল পাস হওয়ার পর থেকেই দেবস্থানে বিক্ষোভের রব ওঠে। তীব্র বিক্ষোভ করে পুরোহিতরা। প্রায় দু'বছর ধরে পুরোহিত সমাজ এই আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন। যার ফলে ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় সরকারকেও। মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীকেও বারংবার ক্ষোভের মুখে পড়ে সেই জায়গা থেকে ফিরে আসতে হয়। স্থানীয় সামাজিক পুরোহিতদের বিক্ষোভ অনুযায়ী এতদিন পর্যন্ত দেবস্থান কোন সরকারের অধীন ছিল না যাতে হস্তক্ষেপ ছিল পুরোহিত এবং সাধারণ দর্শনার্থীদেরই। তাই সরকারের হস্তক্ষেপ উপরে পরে পুরোহিতের। তবে এইবার কৃষি বিল আইন প্রত্যাহার সহ এনআরসি প্রক্রিয়া মত আইনও স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরই সাথে চারধাম দেবস্থান আইনও প্রত্যাহার করল সরকার। যদিও এই আইন নিয়ে এক প্রকারের অনর ছিল উত্তরাখণ্ড সরকার কিন্তু মঙ্গলবার দেরাদুনে বিলটি প্রত্যাহারের কথা নিজের মুখেই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।


কি এই চারধাম দেবস্থান বোর্ড আইন

নীতিমালার দ্বারা মন্দির পরিচালনার জন্য সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে শ্রাইন বোর্ড গঠন করা হয় । যার দ্বারা আইনের বিভিন্ন বিধান সম্পাদন বাজেট প্রণয়ন ব্যয় অনুমোদনও হত। মন্দির গুলি সমস্ত মূল্যবান জামানত গহনা তহবিল প্রভৃতির ক্ষমতাও এই বোর্ডকেই দেওয়া হতো। বোর্ড গঠনের আগে ১৯৩৯ সাল থেকে শ্রী কেদারনাথ মন্দির সমিতি ছিল বদ্রিনাথ কেদারনাথ সহ ৪৫ টি মন্দিরের ব্যবস্থাপনার কাজ করতো। সভাপতি থাকতেন একজন সরকার নিযুক্ত ব্যক্তি এবং সিইও থাকতেন একজন উচ্চ পদের ব্যক্তি। কেদারনাথ বদ্রিনাথ সহ এই ৪৫ টি মন্দিরের অনুদান তহবিল ও উন্নয়নের কাজ সম্পর্কিত সব সিদ্ধান্ত এই কমিটির দাঁড়াই নেওয়া হতো। এতে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ কখনো ছিল না। কিন্তু দেবস্থানাম বোর্ডের মাধ্যমে সরকার তাদের নেওয়া সিদ্ধান্ত এবং নীতির দ্বারা সব নিয়ন্ত্রণ করতেন। বর্তমানে শ্রী বদ্রিনাথ শ্রী কেদারনাথ আইন ১৯৩৯ এর কোন বিধানই আর বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রাসঙ্গিক নয়। এর পরিবর্তে উত্তরাখণ্ড চারধাম শ্রাইন  ম্যানেজমেন্ট বিল কার্যকর হয়েছে। এই বিলটি শ্রী বদ্রিনাথ কেদারনাথ গঙ্গোত্রী যমুনোত্রী অন্যান্য বিখ্যাত মন্দির গুলির নিয়ন্ত্রণে আসে। গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী তে মন্দির গুলির ব্যবস্থাপনা আগে স্থানীয় রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে ধাক্কায় সরকার ভক্তদের দেওয়া অনুমোদন থেকে কোন অংশই পাচ্ছিল না কিন্তু এই আইন পাসের পর সরকারের হাতে আসে সমস্ত দখল। স্থানীয় ট্রাস্টের অধিকাংশই পুরোহিত সমাজ এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চারধাম যাত্রাও ব্যাহত করে।


পুরোহিত পান্ডার সহ যারা এই মন্দিরের সাথে যুক্ত ছিলেন তারা এই নতুন বিল এবং বোর্ডের বিরোধিতা করে এবং এদের সমর্থন করে কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি। পান্ডা সহ অন্যান্য যারা চারধাম মন্দির এর বিভিন্ন দায়িত্ব পালনে ছিল তারা একসাথে দেরাদুন বিক্ষোভ করে এবং অভিযোগ করে সাইনবোর্ডের দাঁড়া সরকার পুরো এলাকায় এবং অনুদানের নিয়ন্ত্রণ পাবে তাতে আখেরে ক্ষতি হবে তাদের।

Journalist Name : Sagarika Chakraborty

Related News