আজ কৌশিকী অমাবস্যা, রাজ রাজ্যেশ্বরী বেসে পুজিতা হন দেবী তারা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

তারাপীঠ, নাম শুনলেই ভক্তিভাব জেগে ওঠে সকলের। আজ কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে সারাদিন ধরেই চলে মায়ের বিশেষ পুজো। বিগত দুই বছর ধরে করোনার কারণে কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে ভক্তদের জন্য বন্ধ ছিল মায়ের মন্দির। তবে এই বছর মায়ের মন্দির খুলে দেওয়া হয়েছে ভক্তদের জন্য। বামদেব, আটলা গ্রাম আর মা তাঁরার মহাশ্মশান ঘিরে রয়েছে অসংখ্য জনশ্রুতি। কথিত আছে, আজকের এই বিশেষ অমাবস্যা তিথিতেই মায়ের দেখা পেয়েছিল বামদেব, সিদ্ধিলাভ করেছিলেন তিনি। তবে অনেকেই মনে করেন সতীর ৫১ পীঠের মধ্যে তারাপীঠ একটি। কিন্তু আসলে তারাপীঠ সিদ্ধপীঠ। বহু তান্ত্রিক সিদ্ধিলাভ করেছেন তারাপীঠ মহাশ্মশানে। পুরাণ মতে দেবী তারার তৃতীয় নয়ন পড়েছিল তারাপীঠে, সেই জায়গা এখন শ্বেত শিমুলতলা নামে খ্যাত। মায়ের এই বিশেষ আবির্ভাব তিথিতে পুজো দিতে ভিড় করেন অগণিত ভক্ত। কথিত আছে ঋষি বশিষ্ঠমুনি যোগ সাধনাই তারাপীঠে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। তাঁকে দর্শন দিয়েছিল মা তারা। তারাপীঠে মা তারা শিলা রুপে পূজিতা হন। মায়ের বিগ্রহ ঢাকা থাকে চাঁদির অবয়বের মধ্যে। সেখানেই পুজো দেন ভক্তরা। মন্দিরের গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে উত্তরমুখী দ্বারকা নদী। লকশ্রুতি অনুযায়ী মা তারা মধ্যরাতের বিশেষ কোন এক সময়ে নিজের অলংকার এবং মুণ্ডমালা খুলে স্নান করেন দ্বারকার জলে। অনেকে গঙ্গার মতোই পবিত্র মনে করেন দ্বারকাকে। সকালে মঙ্গল আরতি দিয়ে শুরু হয় পুজো, চলে সারাদিন। মায়ের ভোগে থাকে শোলমাছ পোড়া, ক্ষীর, মিষ্টি, পোলাও, হরেক রকম ভাজা ইত্যাদি। এই দিন কড়া নিরাপত্তায় মুরে ফেলা হয় মায়ের মন্দির।

Journalist Name : Sabyasachi Chatterjee