শীতকাল
মানেই বাজারে সবুজ সবজির সমাহার তা বলার অপেক্ষা
রাখে না। আর শীতের এই
জনপ্রিয় সবজি গুলোর মধ্যে একটা জনপ্রিয় সবজি হলো মটর শুঁটি বা কড়াইশুঁটি। শীতের
দিনে ছুটির সকাল মানেই গরম গরম কড়াইশুঁটির কচুরি ও আলুর দম।
তবে শুধু ব্রেকফাস্টই নয়। শীতের দিনে যেকোনো রান্নাতেই এর ব্যবহার বাড়িয়ে
দেয় রান্নার স্বাদ। আর এই স্বাদের
পাশাপাশি এতে আছে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোটিন, ভিটামিন এ, ই, ডি,
কে, সি-র মতো
নানান পুষ্টিগুন। যা শরীরে রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। তাই এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তবে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও
রয়েছে। যেমন-
১.
হজমের সমস্যা বাড়ায়-
কড়াইশুঁটিতে
রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইটিক অ্যাসিড এবং লেকটিন যা পুষ্টির শোষণে
বাধা দেয়। এগুলি হজমের সমস্যাও সৃষ্টি করে। এতে উপস্থিত ফাইটেট শরীরে জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রনের মতো খনিজ কমায়। যে কারণে শরীরে
প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি হতে পারে। এটি ইমিউন সিস্টেমকেও প্রভাবিত করে এবং শরীরে ব্যাকটেরিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।
২.
ক্যান্সারের ঝুকি বাড়ায়-
আগেই
বলা কড়াইশুঁটি তে রয়েছে ভিটামিন
কে। যা শরীরে ক্যান্সারের
কোষের বৃদ্ধি বাড়ায়। পাশাপাশি শরীরে ভিটামিন কে অতিরিক্ত পরিমানে
বেড়ে গেলে তা রক্তকে পাতলা
করে দেয়, প্লেটলেটের সংখ্যা কমিয়ে দেয়। এ কারণে ক্ষত
সারতে বেশি সময় লাগে। পাশাপাশি রক্তাল্পতার সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও যাদের পেটের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য মটরশুঁটি একেবারেই অনুচিত।
৩.
ওজন বাড়ায়-
পরিমানে
বেশি মটরশুঁটি খেলে এটি দেহের ওজন ও চর্বি বাড়ায়।
তবে এতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকায় এটি পরিমান মতো খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৪.
বাতের ব্যাথা বাড়ায়-
কড়াইশুঁটিতে
প্রচুর পরিমানে প্রোটিন, অ্যামিনো অ্যাসিড, ফাইবার এবং ভিটামিন ডি থাকায় এটি
হাড়ের জন্য উপকারি। তবে মাত্রাধিক কড়াইশুঁটি খাওয়া হলে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় ক্যালশিয়াম কমিয়ে দেয় যার কারণে ইউরিক অ্যাসিড, আর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৫.
পেটের নানান সমস্যা বাড়ায়-
নানান
গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী অতিরিক্ত পরিমানে মটরশুঁটি খেলে তা পেট ফোলা
ও গ্যাসের সমস্যা তৈরি করে। কারণ এতে রয়েছেন প্রচুর পরিমানে কার্বোহাইড্রেট তাই এটি বেশি খেলে পেটের সমস্যা বাড়ে।
৬.
ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দেয়-
ইরিটেবল
বাওয়েল সিনড্রোম এবং ডায়রিয়ার সমস্যাও বাড়িয়ে দেয় কড়াইশুঁটি। কারণ, এতে পাওয়া প্রোটিন পাকস্থলীতে ভেঙে যায়। তাই ব্রাউন রাইস বা সয়া দিয়ে
খেলে পেটের সমস্যা কম হয়। সেই
সঙ্গে যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য মটরশুঁটি না খাওয়াই ভালো।