বর্তমানে রাজ্যের কোষাগারের অবস্থা তথৈবচ। আয়ের থেকে ব্যায়ের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। কিন্তু তার মধ্যেই চলছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্প। তবে এবার, খোদ মুখ্যমন্ত্রীর মুখেই শোনা গেল কোষাগারের হালের কথা। বিশ্ব বাংলা মেলার মঞ্চে তিনি বলেন, “রাতে ঠিক মতো ঘুমতে পাড়ি না। চিন্তা হয় ট্রেজারি তে টাকা আছে কিনা। ঠিক ভাবে ১০০ দিনের কাজের টাকা দিতে পারবো কিনা”। সেই সাথে বাম সরকারকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি। এদিন মঞ্চে তিনি বলেন, “আমার ধার নিয়েই শুরু করেছিলাম। সেই মতো টাকার উৎস আমাদের নেই। কিন্তু তার মধ্যেও চালাতে হচ্ছে। অনেকেই তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশের সাথে তুলনা করেন। কিন্তু তাঁদের নতুন রাজ্য। আমাদের সাথে তুলনা করলে হয় না”। দিল্লিকে পৌরসভার সমান রাজ্য বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাতেও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী শিবির। সম্প্রতি রাজ্যের পুজো কমিটিগুলিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। সেই সাথে বিদ্যুৎ বিলেও মিলবে ৬০ শতাংশ ছাড়। অন্যদিকে রাজ্যের কর্মীদের বকেয়া ডিএ (ডিয়ারনেস আলয়েন্স) দিতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার। যার জেরে সরকারের নামে ৪টি জন স্বার্থ মামলাও হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। পাশাপাশি আদালত অবমাননার মামলাও দাখিল হয়েছে রাজ্য সরকারের নামে। কিন্তু তাতেও ঘুম ভাঙেনি রাজ্যের। এদিন মুখ্যমন্ত্রী কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির কথা। তিনি বলেন, “আমাদের আমলে কাগজপত্র রয়েছে বলে সব ধরা পড়ছে। কিন্তু বাম আমলের কোন কাগজ নেই। দুর্নীতি স এই আমলেও হয়েছে”।