2019 সালে
দশটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সংযুক্তিকরণ এর কথা জানায় কেন্দ্রীয় সরকার। সংযুক্তিকরণ
সম্পন্ন হয়েছে গত বছরের এপ্রিলে। এই সংযুক্তিকরণ এর ফলেই একটি ব্যাংকের সাথে অন্য
আরেকটি ব্যাংক যুক্ত হয়েছে। যেমন পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের সাথে মিশেছে ইউনাইটেড
ব্যাংক আবার ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অফ কমার্সও। ইন্ডিয়ান ব্যাংকের সঙ্গে সংযুক্তিকরণ
হয়েছে এলাহাবাদ ব্যাংকের। গত বছর পয়লা এপ্রিল সংযুক্তিকরণ এর কাজ হয়েছে।
কিন্তু আসলে
সমস্যা হচ্ছে ব্যাংক সংযুক্ত হলেও ব্যাংকের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত মিশ্রণের কাজ এখনো
সম্পন্ন হয়নি যার কারণবশত চরম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে একাধিক ব্যাংক কর্মীরা। বিশেষত
এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক এবং ইন্ডিয়ান ব্যাংকের কর্মীরা।
অধিকাংশ ব্যাংক কর্মচারীর সমবায় সমিতির টাকা ব্যাংক এমপ্লয়িজ কো-অপারেটিভ ব্যাংকে
জমা পড়ছে না বিগত দিনগুলিতে। ব্যাংক এমপ্লয়িজ কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেড হলো রাষ্ট্রায়ত্ত
ব্যাংকের কর্মী এবং অফিসারদের রাজ্যভিত্তিক সমবায় সমিতি। এই সদস্য হলো বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত
এবং কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মীরা অফিসাররা।
ব্যাংক কর্মীরা
ব্যাঙ্কগুলির সাথে হাওয়া চুক্তিতে মাসিক সাবস্ক্রিপশন, ত্রিফট ফান্ডের টাকা পায় তা
এই সমিতিতেই জমা পড়ে। এই টাকা প্রতি মাসে সেই সব ব্যাংকের কর্মীদের বেতন থেকে কেটে
সমবায় ব্যাংকে জমা দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন ধরে এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া বন্ধ
রয়েছে। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ব্যাংক কর্মীদের অধিকাংশকে। কো-অপারেটিভ ব্যাংকের
চেয়ারম্যান অফ চৌধুরী বলেন পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের সঙ্গে ইউনাইটেড ব্যাংক এবং ওরিয়েন্টাল
ব্যাংক সংযুক্ত হওয়ার ফলে তথ্যগত যেসব কাজ তা এখনো পূরণ হয়নি ফলে ব্যাংক কর্মীদের
বেতন থেকে নির্দিষ্ট টাকা কেটে সমবায় সমিতিতে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।
এই প্রক্রিয়া
সম্পন্ন হচ্ছে না বলে অনুৎপাদক সম্পদ আটকানোর জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নিজেই উক্ত ব্যাংক
কর্মীদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে সরাসরি পাঠিয়ে দিচ্ছে সমিতিতে। অন্য যেকোনো ব্যাংকের
থেকে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক এই এই সমস্যা বেশি মাথাচাড়া দিচ্ছে। এই পদ্ধতি সম্পন্ন
না হলে চিন্তা আরো বাড়বে ব্যাংক কর্মীদের। তাদের উপর ঋণের বোঝা ক্রমশ বাড়তেই থাকবে।
ঋণের পাহাড় হয়ে যেতে পারে। ঋণ শোধ না হয় ওইসব ব্যাংক কর্মীরা নতুন করে ঋণ্ও নিতে
পারবে না। ইতিমধ্যেই রিজার্ভ ব্যাংক কো-অপারেটিভ ব্যাংককে জানিয়েছে যে এইভাবে কার্য
প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হতে থাকলে সমস্ত ব্যক্তির ঋণকে অনুৎপাদক সম্পদ বলে ঘোষণা করবে।
ফলে বাড়তি ঋণের বোঝা চেপে যাওয়ার ভয়ে অতিষ্ঠ ব্যাংক কর্মীরা। সরকারের ব্যাংক সংযুক্তিকরণ
এর এই চেষ্টা এখনো পর্যন্ত চিন্তায় ফেলেছে অধিক ব্যাংক কর্মীদের।