করোনা মহামারীর তে মার খেয়েছে ভারতের অর্থনৈতিক বাজার। ২০২০ তে সেই অর্থনৈতিক মন্দা আমরা দেখেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অর্থনৈতিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয় কিন্তু এখন নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন। যার ফলে বিশ্ব অর্থনৈতিক বাজার বড় ধাক্কা খেয়েছে। ভারতে অর্থনৈতিক বাজারে এই ধাক্কা লাগে গত ২৬শে নভেম্বর। সেন্সেক্স এর পয়েন্ট নেমে যায় অনেক কিন্তু তারপরেও অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয় গত সোম বুধ বৃহস্পতিবার। সেন্সেক্স ওঠে যথাক্রমে ১৫৩, ৬২০ এবং ৭৭৭ পয়েন্ট। কিন্তু শুক্রবার সেই সেন্সেক্স এর অংক নিচে নেমে যায় এবং গিয়ে দাঁড়ায় ৭৬৫।
ভারতে করোনার নতুন প্রভাব ওমিক্রন কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে অর্থনৈতিক বাজারে পড়বে তার প্রভাব। একই বর্তমান বাজারে মূল্য বৃদ্ধি একটি প্রধান সমস্যা। সারাবিশ্বেই মূল্যবৃদ্ধি উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে এই পরিস্থিতি আটকাতে না পারলে তা বাড়বে আরও অনেক বেশি। মূল্য বৃদ্ধি হলে বাড়বে বার্ষিক সুদের হার। ভারতে বর্তমানে বন্ডের ইল্ড বেড়ে ৬.৩ শতাংশ হয়েছে।
তবে এই নতুন ওমিক্রন কে ঘিরে লগ্নিকারীদের চিন্তা বেড়ে চলেছে। সংক্রমণ ও আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতের আন্তর্জাতিক বিমান ব্যবস্থা চালু হলে পর্যটকদের আশা ছিল বৈদেশিক বাণিজ্যে অনেক লাভ আসবে। কিন্তু সংক্রমণ বাড়তে বিধিনিষেধ আনা হচ্ছে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থাতেও। তবে শিল্পের উন্নতি হয়েছে অনেকাংশে বেড়েছে অর্থনৈতিক ক্ষমতা। অক্টোবরে আটটি শিল্প বেড়েছে ৭.৫ শতাংশ হারে আগের বছরের তুলনায় যা বৃদ্ধি পেয়েছে। জিএসটি নভেম্বরে সরকারের খাতায় জমা পড়েছে ১.৩১ লক্ষ্য কোটি টাকা। তবে পরিষেবা সূচক অক্টোবর এর তুলনায় কিছুমাত্র কমে হয়েছে ৫৮.১। জুলাই-সেপ্টেম্বর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৪ শতাংশ। এছাড়া নভেম্বরে বেড়েছে রপ্তানির হারও। বাণিজ্যিক কার্যকলাপে যে উন্নতি সাধন হয়েছে তা পরিসংখ্যানের দ্বারা স্পষ্ট।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রেখে এই পরিসংখ্যান বজায় রাখতে পারলে ভারতের বাজারে উন্নতি আসবে। তবে একাধিক বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী করণা মহামারীর নতুন যে প্রজনন ক্ষমতা আগের প্রজাতির তুলনায় অনেক কম। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে সংক্রমনের উপর। সংক্রমণ যদি কম হয় তাহলে হাসপাতাল অক্সিজেন ভেন্টিলেটর আরো অন্যান্য জিনিসের প্রয়োজন পড়বে অনেক কম তাতে অর্থনৈতিক দিক থেকে উন্নতি হবে।
এর আগে করোনা পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় অর্থনৈতিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল ভারতীয় বাজার। সরকারের কিছু করার ছিল না সেই পরিস্থিতিতে। কাজ হারিয়েছিল বহু সাধারণ মানুষ। এই নতুন প্রজাতির সংক্রমণ আগে থেকে ঠেকাতে না পারলে ফের বিপর্যস্ত হতে পারে ভারতীয় অর্থনৈতিক বাজার।