মহার্ঘ ভাতা মামলার মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রাজ্য সরকার। গত বছর রাজ্যের দুর্গা পুজোকে হেরিটেজ তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। তারপরেই গত মাসে পুজো উদ্যোক্তাদের সাথে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, চলতি বছর রাজ্যের ৪৩ হাজার পুজো কমিটি ৬০ হাজার টাকা সরকারি অনুদান পাবেন। এরপরেই রাজ্যের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীর যুক্তি ছিল, রাজ্যের সরকারি কর্মীরা মহার্ঘ ভাতা থেকে বঞ্চিত। আদালত তিনমাসের সময়সীমা বেঁধে দিলেও তাতে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই রাজ্যের। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী আরও ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হবে যাতে তারা পুজোর বিদ্যুৎ বিলে ৬০ শতাংশ ছাড় দেন। এবার সেই জনস্বার্থ মামলার রায় দিলো কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, অনুদান দিতে পারবে রাজ্য, কিন্তু মানতে হবে ছয়টি শর্ত। প্রথমত, অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যকে মানতে হবে আদালতের আগের সমস্ত নির্দেশ। অন্যদিকে যেই পুজো কমিটিগুলি নির্দিষ্ট খাতে অনুদানের টাকা খরচ করেছে তাদেরই শুধুমাত্র অনুদান দিতে পারবে রাজ্য সরকার। সেই সাথে আদালতের পক্ষ থেকে আরও বলা হয় রাজ্য পুলিশের ডিজি যাতে সমস্ত বিষয়ের তদারকি করেন। চলতি বছর ডিসেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে রাজ্যকে অনুদান সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট বিস্তারিত ভাবে পেশ করতে হবে আদালতের কাছে। অনুদান মামলায় বিরোধীদের বক্তব্য অবশ্য, “পুজোর রাজনীতিকরণ হচ্ছে”। প্রসঙ্গত রাজ্যের কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা মামলার ক্ষেত্রে উদাসীন রাজ্য সরকার। আদালতে শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রেখেছে রাজ্য সরকার।