মাঝরাতেই কুরুক্ষেত্র করুণাময়ী, অনশন দমনে পুলিশের অমানবিক অভিযানের সাক্ষী বাংলা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

চাকরির দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছিলেন ২০১৪ এবং ২০১৭-র টেট পাশ চাকরিপ্রার্থীরা। সেই অনশন তুলতেই কার্যত অমানবিক অভিযান পুলিশের। মধ্যরাতে ১৬ মিনিটের অভিযানে ছত্রভঙ্গ আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা। গতকাল সন্ধ্যে থেকেই চোখে পড়েছিল পুলিশি তৎপরতা। আদালতের নির্দেশনামা হাতে অনশন তুলে নিতে বারংবার অনুরোধ করেছিল বিধাননগর থানার পুলিশ। অপরদিকে দেহে প্রাণ থাকতে অনশন তুলবেন না বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন চাকরিপ্রার্থীরাও। অনশনরত প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে খাবার প্রদান করা হলেও তা কার্যত রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দেন তারা। তাদের দাবি ছিল "ভিক্ষা নয় চাকরি চাই"। বারবার মাইকিং করার সত্ত্বেও ওঠেনি অনশন। তাই শেষমেষ অমানবিক চেহারা দেখা গেল পুলিশের।

ঘড়িতে তখন ঠিক রাত ১২ টা। করুণাময়ী চত্বরে দলে দলে প্রবেশ করেন বিধান নগর থানার পুলিশ। অনশন প্রত্যাহারের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় মাত্র ২ মিনিট। আর তারপরেই শুরু হয় অভিযান। রীতিমতো বল প্রয়োগ করে সরিয়ে দেওয়া হয় ২০১৪-র টেট পাশ চাকরিপ্রার্থীদের। একের পর এক আন্দোলনকারীকে ধরে বেঁধে তোলা হয় পুলিশ ভ্যান-এ। আটক করা হয় বহুজনকে। পাশাপাশি ২০১৭-র টেট পাশ চাকরিপ্রার্থীদের কপালেও জোটে  চরম দুর্ভোগ। অমানবিক বল প্রয়োগের মাধ্যমে ছত্রভঙ্গ করা হয় পুরুষ-মহিলা উভয়কেই। অসুস্থ হয়ে পড়া আন্দোলনকারীদের তোলা হয় অ্যাম্বুলেন্সে। আন্দোলনকারীদের সরাতে রীতিমতো কুরুক্ষেত্র পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় করুণাময়ী চত্বরে। ছিঁড়ে ফেলা হয় চাকরিপ্রার্থীদের পোস্টার-ব্যানার‌ও, যেগুলিতে রক্তের অক্ষরে লেখা ছিল "অমানবিক সরকার, আর নেই দরকার"। দিন-রাত এক করে কেবল একটি চাকরির দাবিতে যেখানে আমরণ অনশনে বসেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা, মাত্র ১৬ মিনিটের অভিযানে সম্পূর্ণ লোকশূণ্য হয়ে যায় সেই অঞ্চলটিই। কেবলমাত্র রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায় রক্তাক্ষরে লেখা ছেঁড়া পোস্টারগুলি।

অভিযান চলাকালীন ভাঙা কন্ঠে চাকরিপ্রার্থীরা জানান এর থেকেও বৃহৎ আন্দোলনে রাস্তায় নামবেন তারা, সময় শুধু অপেক্ষার। গতকালের এই পুলিশি অভিযান কে রীতিমত 'অমানবিক' শব্দে ভূষিত করেছেন একের পর এক বিরোধী নেতারাও। বিগত কয়েক মাস ধরে বাংলায় চাকরির দাবিতে চলছে একের পর এক আন্দোলন। আন্দোলনকারীদের চোখের জলে ভিজছে বাংলার পথ-ঘাট। তবুও কোনোভাবেই পূরণ হচ্ছে না তাদের 'চাকরি'-র দাবি। তাই সরকারের মানবিক রূপ কবে প্রকাশ্যে আসবে সেদিকেই তাকিয়ে আন্দোলনকারীরা।

#Source: online/Digital/Social Media News   # Representative Image


Journalist Name : Uddyaloke Bairagi