#Pravati Sangbad Digital Desk:
খাস বাঁকুড়ায় খোঁজ মিললো ২০০ ফিট দীর্ঘ প্রাচীন গুহার। এই গুহা আদিম মানুষদের সৃষ্টি বলে দাবি স্থানীয় গবেষক মধুসূদন মাহাতোর। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এ যেন ঠিক কোনো সিনেমার দৃশ্য। ভিতরে ঘুটঘুটে অন্ধকার, সর্বত্র উড়ে বেড়াচ্ছে বাদুড়। রয়েছে একের পর এক কুঠুরিও। জেলার বুকে উদ্ধার হওয়া বিরাট আকৃতির গুহা দেখে চোখ কপালে বাসিন্দাদের। স্থানীয় সূত্রে দাবি, ওই অঞ্চলেরই এক গবেষক মধুসূদন মাহাতো এই গুহার খোঁজ পেয়েছেন। বাঁকুড়ার পোড় পাহাড়ের পাথর কেটে বানানো হয়েছে এই গুহা। যার উচ্চতা প্রায় ৬ ফুট এবং চওড়ায় ৪ - ৫ ফুট। গুহার মধ্যে প্রবেশ করে রাস্তা দুটি ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। ডানদিকের রাস্তাটি প্রায় ৬০ ফুট দীর্ঘ এবং বাঁদিকেরটি প্রায় ২০০ ফুট। গুহার বাঁদিকের অংশে রয়েছে বেশ কয়েকটি বিশালাকার কুঠুরি। যেগুলি লম্বায় প্রায় ২০ ফুট এবং চওড়ায় প্রায় ৭ ফুট। সব মিলিয়ে কুঠুরির সংখ্যা ৭। মধুসূদনের মতে প্রত্যেকটি কুঠুরিতে আলাদা আলাদা পরিবার বসবাস করত। স্থানীয়দের দাবি তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন এই গুহার কথা আগে থেকেই জানতেন। কিন্তু এই গুহা যে আদিম মানুষের বাসভূমি হতে পারে তার কোন ধারনাই ছিল না তাদের। যদিও মধুসূদনের এই দাবি অনেকেই উড়িয়ে দিচ্ছেন। তাদের মতে এই গুহা সম্বন্ধে দীর্ঘ গবেষণার প্রয়োজন। যদিও বর্তমান যুগে এসে প্রাচীন গুহার খোঁজ পাওয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। তবে কি সত্যিই এই গুহা ছিল আদিম মানুষের বাসভূমি? উত্তরের আশায় বাঁকুড়াবাসী।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image
Journalist Name : Uddyaloke Bairagi