বিগত
কয়েক বছর ধরে ক্রমেই
বেড়েছে অনলাইন মার্কেটিং, আর তাতেই শিলমোহর
দিয়েছে করোনা। বর্তমান পৃথিবীতে যুব সমাজ আর
অনলাইন আকে ওপরের পরিপূরক,
কারণ অনলাইনে ঘরে বসেই মেলে
প্রায় সমস্ত ধরনের সামগ্রী। প্রশাধন সামগ্রী থেকে শুরু করে
বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুতো, ঘরের নিত্য প্রয়োজনীয়
সামগ্রী থেকে শুরু করে
ওষুধ কি নেই লিস্টে।
সাধারণ বাজারের থেকে তা মেলে
অনেক কম দামেই, মাঝে
মাঝে তো দরকারই পরে
না কোন রকম ডেলিভারি
চার্জ। শুধু তাই নয়
এখন বাড়ি বসেই মেলে
রেস্তরার খাবার, ফোনের একটা কিল্কেই বাড়ির
সামনে হাজির ট্যাক্সি, এমনকি ঘুরতে যাওয়ার জন্য আগে থেকেই
করা যায় হোটেল বুকিং
আর ক্যান্সেল করলে ফেরত মেলে
টাকাও।
অতিমারি পরিস্থিতিতে মানুষ বেশ কিছু মাস ঘর বন্দি ছিল, ভয় ছিল কারোর সংস্পর্শে এসে যেন করোনা আক্রান্ত না হয়ে পড়ে, আর তাতেও আরও লাভের মুখ দেখেছে এই অনলাইন ব্যাবসা বা বাজার গুলি, বেড়েছে ডিজিটাল লেনদেন। আমাজন, ফ্লিপকার্ট, ওলা, উবের, জমাটোর মতো অনলাইন সংস্থা গুলির বারবারন্ত ঘটেছে কোভিডে। তাতে কিছুটা প্রাধান্য পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডিজিটাল ইন্ডিয়া মিশন। এই অতিমারি পরিস্থিতিতে যাতে ছোট বড় সব সংস্থাই সমান অধিকার পাই ডিজিটাল প্লাটফর্মে তা নিশ্চিত করতে চায় প্রতিযোগিতা কমিশন। তার সাথে এই ডিজিটাল ব্যাবস্থা যাতে কোন ভাবেই বন্ধ না হয় তার দিকেও নজর রেখেছেন তারা। তবে অনলাইন বা ডিজিটাল মার্কেটিং এ এখনও পারদর্শী নন অনেকেই, আবার অনেকে ভরসাও করতে পারেন না এই অনলাইন মাধ্যমকে। আর ভরসা না করার কারনও যথেষ্ট। মাঝে মাঝেই ঘটে বিপত্তি। খবরের শিরোনামে উঠে আসে বিভিন্ন ধরনের জালিয়াতির কথা। কোন সংস্থার পেমেন্ট গেটওয়ে ধরে পেমেন্ট করতে গিয়ে ফাঁকা হয়ে যায় সারা জীবনের রক্ত জল করা পরিশ্রমের টাকা। আর এই সব ব্যাপারের দিকেও নজর রেখেছে প্রতিযোগিতা কমিশন।
প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান অশোক কুমার গুপ্ত জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০০০ এর বেশি মামলা তাদের নজরে এসেছে এবং সেই মামলা গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ইদানিং অনলাইন বাজারের প্রতি মানুষের অভিযোগ ক্রমেই বাড়ছে। যার মধ্যে অন্যতম অনলাইন পেমেন্ট এবং সার্চ ইঞ্জিন। তার মতে কোন সংস্থা অতিরিক্ত ছাড় দিয়ে ক্রেতাদের নিজের দিকে আকর্ষণ করার মতো ঘটনাও তাদের নজরে এসেছে। তবে সমস্যা থাকলেও মানুষ উপকৃতও হচ্ছেন এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর ফলে। তাই তাদের এখন লক্ষ্য কীভাবে এই সব অভিযোগ বিনাশ করে ছোট বড় সব রকম সংস্থাকে সমান মান্যতা দেওয়া যায়। সমস্যা মোকাবিলার জন্য দুটি পন্থা অবলম্বন করার কোথাও জানিয়েছেন তিনি। প্রথমত অফলাইন বাজারকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে না এই রকম নীতি প্রণয়ন এবং দ্বিতীয়ত সমস্যা সমাধানে কমিশনের কার্যকারী হস্তক্ষেপ গ্রহণ।
তবে
শুধু সাধারণ মানুষই নয় অনলাইনে ভরসা
রাখছে খোদ সরকারও। করোনা
পরিস্থিতিতে ইলেকট্রিক বিল পেমেন্ট থেকে
শুরু করে বিভিন্ন করের
টাকা পেমেন্ট সব কিছুই মানুষের
স্বার্থে শারীরিক সুস্থতার কথা মাথাই রেখেই
চালু করেছে সরকার।