ইউনেস্কো প্রকাশিত হেরিটেজের তালিকায় স্থান পেল বাংলার দুর্গাপূজো

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

এবার বিশ্বদরবারে নিজের স্থান পাকা করে নিল বাংলার দুর্গাপূজো। জাতি-ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে সবার কাছে এক অপরুপ নস্টালজিয়া তৈরি করে বাংলার দুর্গাপূজো। তবে দুর্গাপূজো এখন বাংলার না, পুরো বিশ্ব দরবারে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করল।


 ২০১৮ সালে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার এই গর্বকে বিশ্বের দরবারে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এমনকি এই পুজোর সম্পূর্ণ সম্মান নিয়ে আসার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প, যেমন মহিলা পরিচালিত কমিটি গঠন, কোলকাতার বিসর্জন ক্যার্নিভ্যাল গঠন প্রভৃতি শুরুও করেন।
 তাছাড়া দূর্গোৎসব শুধু একটা উৎসব না, এটা বাঙালী তথা পুরো ভারতবাসীকে যেমন তাঁর মহীমাতে আকর্ষন করে, তেমনি অনেক শিল্পীকে তাঁর শিল্পের জন্য স্বীকৃতিও দেয়। প্রায় অনেক বাঙালীর আনন্দোৎসবের সাথে সাথে পেট চালানোর মাধ্যম বটে। আলোর রকমারি শিল্প থেকে শুরু করে পুরো মন্ডপের কারুকার্য এবং পুজোর সম্পূর্ণ প্রথা সবটাই বেশ আকর্ষণীয়। 

 ইউনেস্কোর ঘোষণা প্রকাশ্যে আসতেই একে অপরকে অভিনন্দন জানায় কোলকাতার দুর্গাপূজোর কমিটি উদ্যোগ্তাদের সংগঠন ফোরাম ফর দুর্গাপূজো উৎসব কমিটির সমস্ত সদস্যরা। পুরো বঙ্গবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সারা বিশ্বের বাঙালির কাছে এটা একটা গর্বের মুহূর্ত। দূর্গাপুজোকে শুধু উৎসব বললে ভুল হবে, এটা তার চেয়েও বড়ো কিছু। এর সাথে প্রত্যেক বাঙালীর আবেগ এবং সংহতি জড়িয়ে রয়েছে। তাই এই সম্মান প্রাপ্তির আনন্দে আমরা উদ্ভাসিত। এছারাও প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে বলেন, “কোলকাতার দূর্গোৎসবের এই স্বীকৃতি সমস্ত ভারতভবাসীর কাছে গর্বের।“ এছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ্‌ও টুইট করে শুভেচ্ছা বার্তা জানান।
 আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে লক্ষ্য করে টুইট করে বলেন, “ অমিত শাহ্‌ এবং বিজেপির যে সমস্ত নেতারা যারা প্রাক-নির্বাচনের আগে এসে হাস্যকরভাবে বলেছিলেন বাংলায় দুর্গাপূজো করতে দেয় না তাদের জন্য দু’মিনিটের নীরবতা।“ তিনি আরও বলেন, “তাদের ধাপ্পাবাজী ও ধর্মান্ধতা দেশবাসীর কাছে ধরা পড়েই গেল।“ তবে এই খবরে খুশি শিল্পী শুভ্রপ্রসন্ন সহ অনেক শিল্পীরাও। রাজ্যের পর্যটন শচীব নন্দিনী চক্রবর্তী এই সুখবর শুনিয়ে বলেন, “এই প্রথম এশিয়া মহাদেশের কোনো উৎসবকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হলো। এই স্বীকৃতি বাংলার পর্যটন শিল্পকে আরও সুগঠিত করবে। এই ব্যাপারটা নিয়ে ভাবছেন রাজ্যসরকার।

 বাংলার দুর্গাপূজোর মত বড়ো উৎসব দেশে খুব একটা নেই। এবং এই পুজোকে কেন্দ্র করে যে শিল্পের প্রকাশ পায় এবং তার অপর নির্ভর করে যে ৩ হাজার কোটির অর্থনীতি তৈরি হয়, তার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নিলো ইউনেস্কো।  ইউনেস্কোর এই ঘোষোনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেয়র নির্ধারন করার দিনেই ঘোষোনা করলেন যে আগামী বছর ১০ দিন ধরে চলবে দূর্গাপুজো। তিনি বলেন, "আমি দেখতে চাই কলকাতা সেরা শহর হোক। পৃথিবীর মধ্যে কলকাতাকে সেরা হতে হবে। হেরিটেজের জন্য আমরা উদযাপন করব। আগামী বছর ১০ দিন আগে থেকে শুরু হবে দূর্গাপুজোর অনুষ্ঠান।" 
পরের বছর ১লা অক্টোবরে ষষ্ঠী। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী ২০সে সেপ্টেম্বর থেকে চালু হবে এই উৎসব। তবে এতে আপত্তি করেননি পুজো কমিটির অধিকর্তারা। তাদের মতে, এমনিতে পুজো শুরু হয় মহালয়া থেকে। তাই সেই অনূযায়ী পুজ যদি ১০ দিন আগে থেকেও শুরু হয়। তাতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তাছাড়া এই পুজো আরও বড়ো করে পালিত হোক শেটা সবাই চায়।   

Journalist Name : Trina Bhattacharya

Tags:

Related News