রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ভারতের সাধারণ মানুষদের আশ্বাস দিলে ব্যাংক নিয়ে। কোনও ব্যাঙ্ক যদি দেউলিয়া হয় কিংবা আর্থিক সংকটে পড়ে এবং কাস্টমারদের টাকা ফিরিয়ে দেবার নির্দিষ্ট সময় পার করে দেয় তাহলেই প্রত্যেক আমানতকারীদের একাউন্ট পেছ পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে হবে এমনটাই আশা দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। ৯০ দিনের মধ্যে টাকা ফেরত পাবে আমানতকারীরা। ব্যাংক সংক্রান্ত নানা জটিলতা বর্তমানে রয়েছে তার মধ্যে আর্থিক জালিয়াতি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক বেসরকারিকরণ বিলগ্নীকরণ এবং ব্যাংক সংযুক্তিকরণ। যা আমানতকারীদের সংশয় এর মুখে ঠেলে দিয়েছে। তাদের জমানো অর্থ অর্থ কতটা সুরক্ষিত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার। ক্রমেই রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলি বেসরকারিকরণ হচ্ছে ফলে এমনটা ভাবা খুবই স্বাভাবিক। ১৯৬১ সালে ডিপোজিট ইনসিওরেন্স এন্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন আইনের দ্বারা আমার অন্তর টাকা কোন ব্যাংক যাতে সুদ সহ ঠিকমত ফেরত দেয় সেটি ঠিক করা হয়। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত ওই একই কারণের জন্য কাস্টমাররা এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেতো। গত আগস্ট মাসে আইন সংশোধন করে সেই টাকার অংক বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা হয়। কার্যতই প্রশ্ন থেকে যায় যাদের একাউন্টে ৫ লক্ষের বেশি টাকা আছে তাদের সুরক্ষা কোথায়! সে ক্ষেত্রে সরকারের দাবি করেছে প্রায় ৯৮ শতাংশ লেনদেন কারীর একাউন্টে টাকার পরিমান পাতার অনেক কম। তাই ঝুঁকির প্রশ্ন অনেকটাই কম। ৯০ দিনে ৫ লক্ষ টাকা পাওয়ার ওপর বেশি জোর দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী ও তার কথা অনুযায়ী ব্যাংক নিঃশেষ হয়ে গেলেও দেখা যায় পাঁচ ছয় সাত বছর বা তারও বেশি অপেক্ষা করেও গ্রাহকরা টাকা পাইনি। তবে এই ছবি খুব দ্রুতই পাল্টাতে চলেছে এমনটাই ধারণা সরকারের। এই ব্যবস্থার দাঁড়া সরকার যে গ্রাহকদের সঞ্চয় সুরক্ষার জন্য দায়বদ্ধ সেটি প্রমাণ করেছে। এই নতুন সংস্কারকে মাইলফলক বলে দাবি করেছে শীর্ষ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। প্রধানমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত ১ লক্ষেরও বেশি গ্রাহক ১৩ কোটি টাকা পেয়েছে। আর বি আই এর নিষেধাজ্ঞা এবং আরো কিছু ব্যাংকের প্রায় ৩ লক্ষ গ্রাহক খুব তাড়াতাড়ি তাদের প্রাপ্য অর্থ পেয়ে যাবে।আগেই ষোলটি আরবান কো-অপারেটিভ ব্যাংকের গ্রাহকদের প্রাপ্য টাকা মেটানো হয়েছে দ্বিতীয় পর্যায় ৩১ শে ডিসেম্বর বাকি টাকা দেওয়া হবে।
তবে এক্ষেত্রে গ্রাহকদেরও অনেকটা সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যেখানেই যত বেশি রিটার্ন পাওয়া যায় সেখানেই ঝুঁকির সংখ্যা বেশি। গ্রাহকরা বারংবার সেই চওড়া রিটার্নের দিকে থাকে এবং ঝুঁকির সম্মুখীন হয়। গভর্নর বলেন একটি ব্যাংক বেশি সুদ দিচ্ছে বলেই সেখানে হুড়মুড়িয়ে টাকা রাখার বদলে সর্তকতা অবলম্বন করা বেশি জরুরি। প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী সাধারণ মানুষদের সঞ্চয় এর অর্থ কে সুরক্ষিত রাখার কর্তব্য সরকারেরও ।