কলকাতা হাইকোর্টে রাতে নাকি ভূতের উপদ্রব !

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

কলকাতার এমন অনেক স্থান রয়েছে, যেখানে সন্ধ্যা নামলেই ঘুরে বেড়ায় অশরীরী আত্মারা। ভূতের এমন উপদ্রবের গল্প শোনা যায় মহাকরণ থেকে ন্যাশনাল লাইব্রেরি-সহ বহু স্থানে।সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে নানান ভিডিও বেরিয়ে গেছে ইতিমধ্যে।তবে এবার আর মহাকরণ বা ন্যাশনাল লাইব্রেরি নয় সোজা কলকাতা হাইকোর্ট, শোনা যাচ্ছে কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে রাতে দেখা মেলে অশরীরীদের।  কলকাতা হাইকোর্টের এমন ঘটনা শুনলে অনেকেই অবাক হবেন। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টেও নাকি রাত নামলে ওঁদের ঘোরাফেরা চাক্ষুষ করেছেন অনেকেই।কলকাতার বহু হেরিটেজ বাড়ির মতো হাইকোর্টেও রাত নামলে ভূতের দেখা মেলে। এদিন খোদ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিজের মুখে শোনালেন সেই ভুতুড়ে হাড় হিম করা  কাহিনি।
গত মঙ্গলবার ছিল ২০১৪ সালের টেট মামলার শুনানি। আর ওই দিন  শুনানি   শেষে  বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবীকে বলেন, সুপ্রিম কোর্ট যে ২৬৯ জন টেটপ্রার্থীকে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, তাঁদের মামলাগুলি বিকেল চারটে থেকে সন্ধে সাতটা পর্যন্ত শোনা যেতে পারে। এই কথা শুনেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজন আইনজীবী বলে ওঠেন, সন্ধের পরে মামলা চলবে! হাই কোর্টের রাত মানেই তো ভয়ানক, অতৃপ্ত আত্মারা ঘুরে বেড়ায়। অনেকে নাকি টেরও পেয়েছেন এমন সব ঘটনা! এর প্রেক্ষিতেই বিচারপতি বলেন,'  'এ কথা অবশ্য পুরোপুরি মিথ্যা নয়'। কারণ কলকাতা হাইকোর্টের ১১ নম্বর এজলাসের লাগোয়া যে প্যাঁচানো সিঁড়ি, সেখানে যে অশরীরি আত্মার আনাগোনা রয়েছে, এই গল্প বহুদিনের পুরনো । হাইকোর্টের সকলেই জানেন, অন্ধকার হলেই ওই সিঁড়ি ঘিরে গা ছমছমে এক পরিস্থিতি তৈরি হয়। তিনি বলেন, এই সিঁড়ির ভূতুড়ে গল্পের কথা তিনিও জানেন'। তারপরই সামনে আসে অজানা এক ভূতুড়ে গল্প। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, কয়েক বছর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিন রাতে কলকাতা হাইকোর্টের একজন পুলিশকর্মী বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এসে জানান, 'প্যাঁচানো সিঁড়িটি দিয়ে নামার সময়ে তাঁকে কেউ পিছন থেকে ধাক্কা দিয়েছে।ওই পুলিশ নাকি তার পরে ‘হাড় হিম করা’ দৃশ্যও দেখেছেন। এর পর থেকেই ১১ নম্বর এজলাসের পাশের ওই সিঁড়ি পথ রাত হলেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, সেখানে মোতায়েন পুলিশকর্মীর সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হয় সেই সময় থেকে'।স্বয়ং বিচারপতির মুখ থেকে এই গল্প শোনার পর শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা হাইকোর্ট চত্বরে।

Journalist Name : Susmita Das

Tags:

Related News