#Pravati Sangbad Digital Desk:
দীর্ঘ দেড় বছরের লকডাউন জীবনে বাড়িতে থেকেই সব কাজ। সাথে চলছে দেদার খাওয়াদাওয়া উপরন্তু নেই শরীরচর্চার অবকাশ। করোনার ভয়ে অনেকেই ছেড়েছেন জিম যাওয়া। আর এসবের জেরেই বাড়ছে শরীরে বাড়তি মেদ। যা আপনাকে ফেলতে পারে নানান রোগে। তাহলে আজই সাবধান হন। শরীরের প্রতি আনুন বাড়তি যত্ন। কিভাবে? ঘরেই বানিয়ে নিন ডিটক্স ওয়াটার। ভুলেও গুলিয়ে ফেলবেন না ওয়াটার ডিটক্সের সঙ্গে। কারণ ডিটক্স ওয়াটার হলো ফ্রুট ইনফিউসড ওয়াটার। এতে রয়েছে হাজারো পুষ্টিগুন ও উপকারিতা। জানুন সেগুলি।
ডিটক্স ওয়াটার বানাবেন যেভাবে-
সাধারণত ডিটক্স ওয়াটার বিভিন্ন রকম কাঁটা ফলের সংমিশ্রনে হয়। আবার অনেকেই আলাদা আলাদা নিজেদের পছন্দের ফল দিয়েও বানাতে পারেন তবে পদ্ধতি একটাই জানুন কিভাবে করবেন।
একটা বড়ো মুখের জার কিংবা কাছের পাত্র নেবেন। তাতে একে একে বিভিন্ন রকম নিজেদের পছন্দের রসালো ফল যেমন- আঙুর, আপেল, কমলা লেবু, পাতি লেবু, তরমুজ, শশা, পুঁদিনা টুকরো টুকরো করে তাতে পরিমান মতো জল ও অ্যাপেল সিডার ভিনিগার দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ফ্রিজে ২-৩ ঘন্টার জন্য ঠান্ডা করে নিলেই খাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে যাবে ডিটক্স ওয়াটার। একবার বানিয়ে নিলে ২-৩ দিন স্টোর করে এই জল খেতে পারবেন।
এবার জানুন এটি নিয়মিত খাওয়ার উপকারিতা-
১. এই ডিটক্স ওয়াটার নিয়মিত খেলে এটি শরীরের মেটাবোলিজম অর্থাৎ বিপাক ক্রিয়াকে ঠিক রাখে।
২. শরীর থেকে টক্সিন বের করে ওজন কমাতে সাহায্য করে। হজমে সাহায্য করে, কন্সটিপেশন ও ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশনের মতো যাবতীয় সমস্যা কমায়।
৩. ত্বক ও চুলকে স্বাস্থ্যজ্জল করে তোলে। যার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে ও চুলও ঝলমলে হয়ে ওঠে।
৪. এটি ফলের পুষ্টিগুনে ভরপুর হওয়ায় খিদে কমায়, যা ওজন বাড়তে দেয় না।
৫. শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেলস ও ফাইবারের জোগান দেয়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
Journalist Name : Sohini Chatterjee