রাজ্যে আবার নতুন শিক্ষক নিয়োগ ৭৩৮ টি শূন্যপদে

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ পুনরায় শূন্য পদের জন্য শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করলো। জানা যাচ্ছে প্রায় ৭৮৬ টি পদ এখনও ফাঁকা রয়েছে। সোমবার নতুন করে এক তালিকা প্রকাশিত হয়েছে শিক্ষক নিয়োগের জন্য। ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য পরীক্ষার প্রশ্নপত্র উত্তর ভুল এই সংক্রান্ত যাবতীয় যা হয়েছিল সেই মামলার উপর ভিত্তি করে হাইকোর্টের নির্দেশে সোমবার এক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৪ সালের সেই টেট পরীক্ষায় এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয় এবং তাতে প্রশ্নের ভুল উত্তর কে নিয়ে অনেক রকম বিতর্ক হয় । বেশিরভাগই উত্তীর্ণ হতে পারে না।

যারা উত্তীর্ণ হতে পারে না তাদের অনেকেই হাইকোর্টে যায় অভিযোগ করে। তার ভিত্তিতেই মামলা হয় এবং বর্তমানে সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই নতুন তালিকা প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এসব কিছুই বিকাশ ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বোর্ড সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর বক্তব্য অনুযায়ী,” ২০১৪ সালে যে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয় তাতে যেসব পরীক্ষার্থীরা ছ নম্বর পেয়ে টেটে পাস করেছে শুধুমাত্র তাদেরই ইন্টারভিউয়ের দিন স্থান সময় প্রভৃতি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এর ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।


২২ থেকে ২৮ শে ডিসেম্বর তাদের আগের পরীক্ষার যাবতীয় তথ্য যাচাই হবে এবং উত্তীর্ণ হবার দরুন তাদের ইন্টারভিউ নেয়া হবে।” নতুন ৭৩৮ জনের তালিকা প্রকাশ হওয়ার আগেও ৪০০ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। ওই ৪০০ উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীর প্রত্যেকে পুরনো পরীক্ষার্থী। তবে বর্তমানে চাকরিপ্রার্থীদের প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে একটি নিয়োগের জন্য এত বছর কেন অপেক্ষা করতে হবে। কিসের এত অসংগতি। একটি পরীক্ষার ইন্টারভিউ এর কেটে গেল সাত বছর। তাতেও পর্ষদ পক্ষ থেকে নিশ্চিত কিছুই বলা যাচ্ছে না। যে ইন্টারভিউ নেয়া হবে তারপর যোগ্য প্রার্থীদের যোগ্যতা অনুযায়ী আবার তারিখে প্রকাশিত হবে। এরপরে যাদের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়ে গেছে কিন্তু মেধাতালিকায় নাম ওঠেনি তাদেরকে নিয়ে আবার নতুন করে একটি তালিকা দেওয়া হবে।


এসব তথ্য শিক্ষা পর্ষদের দুটি ওয়েবসাইট বিশদে দেওয়া হয়েছে। বোর্ড সভাপতি বলেন অতি দ্রুত এই শুন্য ৭৩৮ প্রাথমিক শিক্ষক পদের জন্য চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগপত্র পাবেন। কোনরকম অশান্তি হবে না বলেই ধারণা করা হয়েছে পর্ষদ এর পক্ষ থেকে। এতদিন ধরে অপেক্ষা করা চাকরিপ্রার্থীরা যাতে সঠিকভাবে নিয়োজিত হয় সেটাই মূল লক্ষ্য। মামলাসংক্রান্ত ঝামেলার জন্য এতদিন যা আটকে ছিল। 

Journalist Name : Sagarika Chakraborty

Related News