এসএসকেএম হসপিটাল এর বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

চিকিৎসার গাফিলতিতে হসপিটাল ভাঙচুর কিছু পুরনো কথা নয় । এবার সেই কান্ডেই রবিবার গভীর রাতে তুলকালাম কাণ্ড বাঁধল এসএসকেএম হাসপাতাল চত্বরে। মধ্যরাতে এসএসকেএমে গুরুতর জখম অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল মহম্মদ ইরফান নামের এক যুবককে। রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে হাসপাতালকে ঘিরে। হাসপাতালে চড়াও হন রোগীর আত্মীয় পরিজনরা। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ ওঠে। পাঁচজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, রোগীর মৃত্যুর শংসাপত্র লেখার সময় ট্রমা কেয়ার সেন্টারের চিকিৎসকদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন রোগীর আত্মীয়রা। কর্তব্যরত ৪ জন চিকিৎসককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি ট্রমা কেয়ার সেন্টারের চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করা হয়। হামলা চালানো হয় এক্স-রে মেশিনের উপরেও। এসএসকেএম হাসপাতালে পুলিশের পার্মানেন্ট ক্যাম্প থাকা সত্ত্বেও কেন এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বললেন, “যখন ওরা এল, বডি নিয়ে চলে গেল, তখন তোমরা (পুলিশ) চলে গেলে কেন? ওখানে তো পার্মানেন্ট ক্যাম্প করে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং তোমাদের তরফেও গাফিলতি আছে।”

সোমবার দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসকেএম হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট প্রকাশ্যে আসার আগেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “না না, আপনি সব জানেন না। আমি সকালেই ঘটনাটা হ্যান্ডেল করে দিয়েছি। তখন দুইজন মাত্র জুনিয়র ডাক্তার ছিল। কোনও সিনিয়র ডাক্তার ছিল না। ঘটনাটি চার-পাঁচদিন আগের একটি অ্যাক্সিডেন্ট কেস। যাই হোক, একজন তরুণ ছেলে মারা গেলে, মানুষের তো দুঃখ হয়। কিন্তু তাঁদের এটা করা উচিত নয়।চিকিৎসকরা তাঁদের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। আমাদের ট্রমা সেন্টারে অন্যতম সেরা। চিকিৎসকরা চার-পাঁচ দিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন।”


হাসপাতালের ভিতরে এই তুলকালাম কাণ্ডের সময় ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভাঙচুরের অভিযোগও উঠেছে। সেই নিয়েও বেশ অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, “রাতের বেলা মারা গিয়েছে বলে ওরা হঠাৎ ঢুকে গিয়েছে। আমি কত কষ্ট করে, কত টাকা খরচ করে এই ট্রমা সেন্টার করেছি। দুইজন জুনিয়র ডাক্তারকে ওরা হেনস্থা করেছে। কোনও সিনিয়র ডাক্তার তখন ছিলেন না। আমি পিজির সুপারকে ফোন করে চিকিৎসকদের জন্য সরি বলেছি।” মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে থাকার কথা বলেন। তিনি জানান,” জুনিয়র চিকিৎসকদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা আমাদের সরকার দেবে। আমি সুপারের সঙ্গে কথা বলেছি, আমি মনে করি রাতেও সিনিয়র ডাক্তারদের থাকা উচিত।”

তিনি পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত রেগে বললেন, “পুলিশকেও বলেছি, যখন ওরা এল, বডি নিয়ে চলে গেল, তখন তোমরা চলে গেলে কেন? তোমাদের ওখানে তো পার্মানেন্ট ক্যাম্প করতে বলা হয়েছে। ঘটনা ঘটার পরে তুমি আবার আসছ। ওখানে তো পার্মানেন্ট ক্যাম্প করে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং, পুলিশের তরফেও গাফিলতি আছে। তাছাড়া পাঁচজনকে তো গ্রেফতার করা হয়েছে।” এই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Journalist Name : Aparna Dutta

Tags:

Related News