কলকাতার কোন ঘাটে হবে গঙ্গা আরতি?? চলছে তার ই পরিকল্পনা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

গঙ্গার বুকে সন্ধ্যা আরতি বললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বারাণসীর দৃশ্য।কথিত আছে স্বয়ং মহাদেব নাকি বারানসি স্থানের প্রতিষ্ঠা করেন।এখনো পর্যন্ত এই বারানসি ই হলো ভারতের আধ্যাত্মিক রাজধানী।আর এখানের সন্ধ্যাবেলার গঙ্গা আরতি ভারতের অন্যতম পর্যটন এর বিষয়।প্রতিদিন সূর্যাস্তের পর ৪৫ মিনিট ধরে গঙ্গার আরতি করা হয় গঙ্গার বুকে। আর এই আরতি দেখতে প্রতিদিন বাইরে থেকে হাজার হাজার পর্যটকরা আসেন।বাংলার থেকেও বহু মানুষ যান এই আরতি দেখতে ।

তবে এখন থেকে আর গঙ্গা আরতি দে বারানসি যেতে হবেনা ,বরং কলকাতাতেই দেখা যাবে গঙ্গা আরতি।আর তার ই প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে।পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগেই কলকাতাতেই গঙ্গা আরতির ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।তবে তিনি চান কাজ টি ধীরে সুস্থে হোক। তাতে ২ বছর সময় লাগলেও কোনো অসুবিধে নেই । তবে কারো কোনো ক্ষয়ক্ষতি যেনো না হয়।


এই কাজের জন্য ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।তিনি গঙ্গার বহু ঘাট ঘুরেও দেখেন।পৌরসভা এর বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ার আধিকারিক দের ও পাঠানো হচ্ছে ঘাটগুলি ঘুরে দেখার জন্য।উপযুক্ত ঘাটটি নির্বাচন এর কাজ চলছে।তবে মুখ্যমন্ত্রী চান যেই ঘাটে সন্ধ্যা আরতি হবে সেই ঘাটের কাছেই যেনো মন্দির থাকে।সেই হিসেবে দেখলে প্রিন্সেপ ঘাট থেকে শুরু করে রাণী রাসমণি ঘাট পর্যন্ত কোনো মন্দির নেই। তাই এই সমস্ত ঘটগুলি বাদ পড়বে।

অপরদিকে মিলেনিয়াম পার্ক এর কাছের ঘাট টি তে ওয়াকিং যোন রয়েছে। ঘাট টি ৫০০ মিটার লম্বা ও ৩০ মিটার চওড়া।ফলে অনায়াসেই দর্শনার্থী রা গঙ্গা আরতি দর্শন করতে পারবে।তবে সমস্যা হলো এখানে কোনো মন্দির নেই।তাই সন্ধ্যা আরতি এর ব্যাবস্থা এখানে করতে হলে মন্দিরের ও নির্মাণ এর ব্যাবস্থা করতে হবে।

এছাড়াও আরো কয়েকটি ঘাট প্রাথমিকভাবে বেছেছে কলকাতা পৌরসভা। যাদের মধ্যে অন্যতম হলো বাজে কদমতলা ঘাট,আহিরিটলা ঘাট ও নিমতলা ঘাট।এর মধ্যে আহিরিটলা ও নিমতলা ঘাটে বড়ো মন্দির রয়েছে এবং আরতির জন্য প্রয়োজনীয় যথেষ্ট জায়গা ও রয়েছে। এবার মুখ্যমন্ত্রী এতে সম্মতি দিলেই শুরু হয়ে যাবে আরতির তোড়জোড়।।


Journalist Name : SRIMITA SASMAL

Related News