বিশেষ কিছু শারীরিক সমস্যায় এড়িয়ে চলুন 'আমন্ড' বাদাম, জানুন বিস্তারিত

banner

#PRAVATI SANGBAD DIGITAL DESK:

আমরা সকলেই জানি আমন্ড আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আমন্ড খেলে আমাদের মস্তিষ্ক সতেজ থাকে। তাই ছোট থেকে বড় সকলেই আমন্ড খাওয়াটা খুবই প্রয়োজন বলে মনে করি। ছোটবেলায় মায়েরা দুধের সঙ্গে আমন্ড পেস্ট করে খাওয়াতো। এমনকি আজকের দিনে যারা শরীর সম্পর্কে সচেতন তারা সকলেই আমন্ড ব্রেকফাস্টে খেয়েই থাকি। শরীর ফিট রাখতে এখন সকলেই ডায়েট করছে।  সেই ডায়েটের তালিকাতেও আমন্ড অন্তর্ভুক্ত থাকে। শরীর সুস্থ রাখতে আমন্ড খান এমন মানুষের সংখ্যা অনেকেই। আমাদের মানব দেহের বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে আমন্ড বাদাম। এছাড়াও আমন্ড বাদাম দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 

আমন্ডে থাকা বিভিন্ন উপাদান ত্বক উজ্জ্বল রাখতে ও শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া মস্তিষ্কের বহু সমস্যাও দূর করে ও মস্তিষ্ক সতেজ রাখতেও উপকারী এই বাদাম। কিন্তু জানেন কি? কিছু কিছু বিশেষ শারীরিক সমস্যা থাকলে আমন্ড খাওয়া ক্ষতিকারক হতে পারে!

১, উচ্চ রক্তচাপ- যেসকল মানুষের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য আমন্ড খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এক্ষেত্রে আমন্ড খেলে রক্তচাপ আরও বেড়ে যেতে পারে।

২, কিডনির সমস্যা- পাশাপাশি কিডনির সমস্যা থাকলেও আমন্ড অপকারী। কিডনির সমস্যাজনিত রোগীদের আমন্ড খাওয়া বিপদজনক হতে পারে। 

৩, গলব্লাডারের সমস্যা- যেসকল মানুষের গলব্লাডারে সমস্যা রয়েছে, তাদের বাদাম খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।

৪, হজমে সমস্যা- অতিরিক্ত বাদাম খেলে হজমের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাই পেটের সমস্যা থাকলে আমন্ড এড়িয়ে চলাই ভালো।

৫, অতিরিক্ত ওজন সমস্যা- শরীরের ওজন বেশি হলে কখনই আমন্ড খাওয়া উচিৎ নয়। কারণ আমন্ডে আছে ক্যালোরি ও ফাইবার যা মেদ বৃদ্ধি করতে পারে। তাই ওজন কমাতে হলে আমন্ড না খাওয়াই ভাল।

তবে আমন্ড কিন্তু শরীরে জন্য খুবই উপকারী। আমন্ডে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম কপারের মত খনিজ পদার্থ, রয়েছে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিনস-এর মত দরকারি পদার্থগুলিও। অনেক সমীক্ষায় দেখা গেছে, আমন্ডে ভিটামিন ই-এর পরিমাণ অনেক বেশি। বিশেষজ্ঞরা জানান, যারা নিয়মিত আমন্ড খান তাদের শরীরে ভিটামিন ই-এর অভাবজনিত রোগ দেখাই যায় না। ২০১৫ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় গবেষকরা বলেছেন, পুষ্টি বা ডায়েটের অংশ হিসাবে চিনাবাদাম, আখরোট বা আমন্ড সহ উচ্চ বাদামের গ্রহণের ফলে স্তনের ক্যান্সারের ঝুঁকিটি উল্লেখযোগ্যভাবে দুই থেকে তিন গুণ কমেছে। তাই, প্রতিদিনের ডায়েটের অংশ হিসাবে বাদাম গ্রহণ স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করতে পারে।

আমন্ডে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সারাদিন কাজ করার ফলে আমাদের শরীরে প্রচন্ড স্ট্রেস জমা হয়। এই স্ট্রেসের ফলে কোশের ক্ষতি হতে থাকে। আমন্ডে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেসকে কমাতে সাহায্য করে। আমন্ড জাতীয় বাদাম শরীরের কোলেস্টেরলকে ঠেকিয়ে রাখতে সাহায্য করে।

Journalist Name : Puja Adhikary

Related News