শীতকালে ঠান্ডা না গরম কোন জলে স্নান করবেন ?

banner

#PRAVATI SANGBAD DIGITAL DESK:

শীতকালে স্নান করাটাই  খুব কঠিন কাজ।স্নান না করতে হলেই যেনো হাঁফ ছেড়ে বাঁচা যায়।তাই অনেকেই ২ বা ৩ দিন ছাড়া ছাড়া স্নান করেন।আবার অনেকে জল গরম করে স্নান করেন। কেউ বা অভ্যাসবশত বছরের বাকি ঋতু গুলোর মত শীতকালেও ঠান্ডা জলেই স্নান করেন।তবে প্রশ্ন টা হলো শীতকালে ঠান্ডা না গরম কেমন জলে স্নান করা উচিৎ??

বিশেষজ্ঞদের মতে,ঠান্ডা বা গরম উভয় জলে স্নান করার ই কিছু সমস্যা রয়েছে। যেগুলোর প্রতি আমাদের অতি অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে,নাহলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

শীতকালে ঠান্ডা জল দিয়ে স্নান করলে নানান শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।ঠান্ডা জলে স্নান করলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।এমনকি হতে পারে স্ট্রোক ও।হটাৎ ঠান্ডা জলের সংস্পর্শে শরীর এলে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন এর মত অবস্থা দেখা দিতে পারে । ঠান্ডা জলে শরীরের তাপমাত্রা হটাৎ কমলে পেরিফেরাল ভাসকুলার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।এটি দ্রুত রক্তচাপ বাড়ায় ,ফলে হার্ট এ্যাটাক ও স্ট্রোক ও হতে পারে।ঠান্ডায় স্নান এর সময় শাওয়ার ব্যাবহার করা উচিত নয়।বালতিতে জল নিয়ে স্নান করা উচিত।শরীরে বা মাথায় জল ঢালার আগে পায়ে জল ঢালা উচিৎ যাতে জলের তাপমাত্রার সংকেত আগে মস্তিষ্কে পৌঁছায়।শীতকালে নদী বা সুইমিং পুলে স্নান করা উচিত নয়।এছাড়াও শীতকালে ঠান্ডা জলে স্নান করলে ঠান্ডা লাগা, সর্দি, কাশি,টনসিল বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা বৃদ্ধি পায়।এছাড়াও যাদের ঠান্ডায় এলার্জি থাকে তাদের সমস্যা দেখা যায়। বাতের ব্যথা বৃদ্ধি পায়।আবার ডায়াবেটিস রুগীদের শরীরে গ্লুকোজ এর পরিমাণ ও বৃদ্ধি পায় ঠান্ডা জলে স্নান করলে।

আবার গরম জলে স্নান করলে হজম এর সমস্যা বৃদ্ধি পায়। শরীর গরম হয়ে যায়। অ্যাসিডিটি বৃদ্ধি পায়।যাদের মাইগ্রেন এর সমস্যা রয়েছে তাদের অসুবিধা দেখা যায়।মুখে ব্রণ হয়।গরম জল মাথায় নিলে চুলের ক্ষতি হয়,সাথে সাথে মস্তিষ্কের ওপর চাপ পড়ে। 

তাহলে শীতকালে গরম না ঠান্ডা কোন জলে স্নান করা উচিত?

শীতকালে স্নান এর জন্য ব্যাবহার করতে হবে ঈষৎ উষ্ণ জল।যা শরীরের কোনো ক্ষতি করেনা।শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। পেশির রিলাক্সেশন বৃদ্ধি পায়।সর্দি কাশি হয়না। শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় থাকে। বাতের ব্যথা ও উপসম হয়। তাই শীতকালে ঈষৎ উষ্ণ জল ব্যাবহার করা উচিৎ।।

Journalist Name : Srimita Sasmal

Related News