শীতকাল আসলেই বাঙালির মন নেচে ওঠে নিত্য নতুন খাবারের আশায়। শীতকাল মানেই প্রথমেই আসে ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে পিকনিকের আমেজ। এছাড়াও লেগে থাকে একের পর এক অনুষ্ঠান। বড়দিন , বছর শেষের উজ্জাপন, বছর শুরুর আনন্দ আরো কত কি। এই সময়ে বাঙালিদের খাবারের প্রতি এক আলাদাই উচ্ছাস দেখা যায়।
কলকাতার বিভিন্ন রেস্তোরা সেজে ওঠে নতুন আলোকসজ্জায়। রাস্তায় মানুষের সমাগম শীতকালকে এক আলাদা পর্যায় নিয়ে যায়। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায় মানুষ। আর মাত্র তিন দিন পরই নতুন বছরের শুরু। পিকনিক, ঘুরতে যাওয়া , খাওয়া - দাওয়া লেগেই রয়েছে। বাড়িতে পিকনিক হলে তো কোনো কথাই নেই। চারিদিকে থাকে খাবারের সম্ভার। বেশিরভাগ খাবারই কার্বোহাইড্রেটে পরিপূর্ণ , পুষ্টি থাকে না বললেই চলে।
তবে এইসব খাবার সুস্থ শরীরকে অসুস্থ করে তোলে। নিয়মিত ডায়েটের মধ্যে থাকা মানুষদের প্রতিদিনের রুটিনে পরিবর্তন আনে এমনকি কয়েক কেজি ওজন বাড়ে। শরীর সুস্থ ও ওজন ঠিক রাখতে শীতের মরশুমে স্বাস্থ্যকর ও জিভে জল আনা কিছু খাবার বানানোই যায়। যেখানে পুষ্টিও থাকবে আবার খেতেও সুস্বাদু হবে।
১. নন অ্যালকোহলিক এগনগ :
নন অ্যালকোহলিক এগনগ একটি অত্যন্ত সুস্বাদু পানীয়। এটি স্বাস্থ্যকরভাবে বানানোর জন্য আমন্ড দুধ ও মধু ব্যবহার করতে হবে। প্রথমে একটা ব্লেন্ডারে বাদাম দুধ, মধু, ডিমের কুসুম, দারুচিনি ও জায়ফল দিয়ে এক মিনিট ব্লেন্ড করতে হবে। এরপর পানীয়টা একটি পাত্রে নিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে। ঘন হয়ে গেলে সামান্য ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে এয়ার টাইট জারে ঢেলে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা রাখতে হবে ফ্রিজে। পরিবেশনের আগে তাতে সামান্য জায়ফল ও দারুচিনি গুঁড়ো ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে।
২. কিনোয়া পিনাট ব্রিটল :
কিনোয়া পিনাট ব্রিটলের একটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর রেসিপি। এতে প্রোটিন, ফাইবার এবং চর্বিযুক্ত উপাদান রয়েছে। এটি তৈরি করতে ওভেন ৩২৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটে গরম করতে হবে। একটা বাটিতে কিনোয়া, ওটস, কাঁচা চিনেবাদাম, নারকেল চিনি, চিয়া বীজ এবং সি সল্ট ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর দিতে হবে নারকেল তেল, খাঁটি ম্যাপেল সিরাপ ও ভ্যানিলা এসেন্স। এরপর সবকটি উপাদান ভালো করে মেশাতে হবে। মেশানো হয়ে গেলে মিশ্রণটি ঢেলে দিতে হবে একটি পাত্রে। সুন্দর করে সাজানোর জন্য একটু বাদাম ভেঙে ছড়িয়ে দিতে হবে এর ওপরে।
৩. মুয়েসলি ডেজার্ট :
এটি বানাতে গেলে একটা কাচের কাপ বা গ্লাসের একেবারে নিচে রাখতে হবে ২ টেবিল চামচ মুয়েসলি। তারপর ২ টেবিল চামচ দই, তার ওপর কিছু বেরি ও আনারসের টুকরো। কাপ ভর্তি না হওয়া পর্যন্ত এটা প্রক্রিয়াটি করে যেতে হবে। সবার উপরে দিতে হবে ১ টেবিল চামচ মধু।
এবার শীতের মরশুমে খাওয়া - দাওয়া নিয়ে চিন্তা না করে বানাতে পারেন এরম সুস্বাদু কিছু পদ। যা আপনাকে ওজন ধরে রাখতে ও শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। অথচ তা সুস্বাদু হবে।