কাজুর পায়েস এবং উপকারিতা

banner

#PRAVATI SANGBAD DIGITAL DESK:

শীতে নলেন গুড়ের পায়েস খেতে কার না ভালোলাগে? তবে চালের পায়েস হয়তো সবাই খান কিন্তু কাজুর পায়েসের আকর্ষনীয়তা আপনাকে মুগ্ধ করবে।

পায়েসের উপাদান:

■ গোবিন্দভোগ চাল― 70 গ্রাম

■ দুধ― 1 লিটার

■ চিনি 100 গ্রাম/ পাটালি গুড় দেড় খানা

■ কাজু― 15 টা

■ কিসমিস― 10 টা

■ ঘি― 1-2 টেবিল চামচ

■ তেজপাতা― 1 টা

■ এলাচ― 4 টে

■ কনডেন্সড মিল্ক/ আমুল দুধ―(3টেবিল চামচ/ 5 টেবিল চামচ)

■ নুন― 1চিমটি

প্রনালি:

■ প্রথমে গোবিন্দভোগ চালটা ধুয়ে নিয়ে ঘি মাখিয়ে 15 মিনিট মতো রাখতে হবে। তারপর কাজু কিসমিস্ গুলো ঘি বা সাদা তেলে হালকা ফ্রাই করে তুলে নিতে হবে।

এরপর একটা পাত্রে দুধ ঢেলে জাস্ট এক চিমটি নুন ও একটা তেজপাতা ও এলাচ দিয়ে হাই ফ্লেমে ফোটাতে হবে। দুধটা একবার ফুটে উঠলে মিডিয়াম ফ্লেমে আরও 4মিনিট হাতা দিয়ে নেড়ে নেড়ে জ্বাল দিতে হবে।

4মিনিট পর ঘি মাখানো চালটা এবং হালকা ভেজে রাখা কাজু কিসমিস গুলো ফুটন্ত দুধে ঢেলে দিতে হবে এবং এবার একবার একটু ঢাকা দিতে হবে আবার একবার একটু নেড়ে দিতে হবে -এইভাবে করতে করতে চালটা যখন প্রায় সেদ্ধ হয়ে আসবে তখন চিনি বা পাটালি গুড়টা দিয়ে আরও 6মিনিট মতো নাড়তে হবে।

সবশেষে কনডেন্সড মিল্ক বা একটু গরম জলে আমুল দুধ গুলে পায়েসের ওপরে ঢেলে নেড়ে দিতে হবে। ব্যাস এবার খেয়ে ফেলুন। এ স্বাদ জিভে লেগে থাকবেই।।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ :

মার্কিন যু্ক্তরাষ্ট্রের অর্ধেক জনসংখ্যাই উচ্চ রক্তচাপের শিকার। একটি সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে যে, কাজুবাদাম উচ্চ রক্তচাপ কম করে। এতে সোডিয়াম কম থাকে এবং পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে উপযুক্ত পরিমাণে। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ট্রাইগ্লিসারাইডের স্তর কম করতে সাহায্য করে কাজু বাদাম। এই ট্রাইগ্লিসারাইড স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, হৃদরোগের অন্যতম কারণ। তবে, নোনতা কাজুবাদাম খাবেন না। হীতে বিপরীত হতে পারে।

রক্তে শর্করার পরিমাণ বজায় রাখা :

 রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি বা ডায়াবিটিস থাকলে নিজের খাদ্য তালিকায় কাজুবাদাম অন্তর্ভূক্ত করুন। ২০০৯ সালে ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ এন্ডোক্রিনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজম’-এ প্রকাশিত সমীক্ষা অনুযায়ী, টাইপ ২-ডায়াবিটিস আক্রান্ত যে সমস্ত রোগীরা কাজুবাদাম থেকে ১০ শতাংশ ক্যালরি গ্রহণ করেছিলেন, তাঁদের ইনসুলিনের পরিমাণ অন্যদের তুলনায় কম ছিল। এতে উপস্থিত ফাইবার ধীরে ধীরে রক্তে গ্লুকোজ নিঃসরণ করে।

হাড় মজবুত করে :

হাড় মজবুত করতেও সাহায্য করে কাজু। এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম থাকে। ক্যালশিয়ামের মতো ম্যাগনেশিয়ামও হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। তাই হাড়ের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য খাদ্য তালিকায় কাজু অন্তর্ভূক্ত করা উচিত। শরীর সুস্থ রাখতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, লোহিত রক্ত কণিকা বৃদ্ধি, হাড় মজবুত, টিস্যু সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয় কপারের উল্লেখযোগ্য উৎস কাজুবাদাম। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।

কোষের ক্ষয়রোধ : 

বাদাম ও নানান বীজে উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপস্থিত। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপস্থিত ফ্রি র‌্যাডিকেল দেহের ক্ষতি কম করে। পলিফেনল ও ক্যারোটিনয়েড নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্টের গুরুত্বপূর্ণ উৎস কাজুবাদাম। কাজু বাদামে কম পরিমাণে ক্যালরি থাকে। ২০১৭ সালের একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে, যাঁরা নিয়মিত কাজু বাদাম খান, অন্যদের তুলনায় তাঁদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কাজুবাদাম প্রোটিন, ফাইবার ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের ভালো উৎস। এর ফলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়ে পড়ে। এক কাপ কাজুবাদামে গড়ে ১৩৭ ক্যালরি থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে যে, আমাদের দেহ এই ক্যালরির ৮৪ শতাংশ পর্যন্ত শোষণ করতে পারে। অবশিষ্ট অংশ কাজুবাদামের ত্বকে আটকে থাকে।

Journalist Name : Aparna Dutta