কেরালা ব্লাস্টারকে হারের মুখ থেকে বাঁচলেন সাহাল সামাদ

banner

#Pravati Sangbad Desk:

গোয়ার তিলক ময়দানে জামশেদপুর এফসির স্টুয়ার্ট এর ফ্রিকিক থেকে  এক অনবদ্য গোলের পর, কেরালা ব্লাস্টার্স এর সাহল সামাদের গোলের জন্য ১ পয়েন্ট পায় কেরালা ব্লাস্টার ও আইএসএল এর লীগ টেবিলে ৩ নম্বরে ৮ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে এবং জামশেদপুর এফসি ২ নম্বর স্থানে ৮ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছে।আজ শুরু থেকেই জামশেদপুর এফসি সমস্ত খেলোয়াড়রা তাদের অসাধারণ খেলার মাধ্যমে মন কেড়েছিল ফুটবল প্রেমীদের, কাল ওয়েন কোল তার দলকে ৪-৪-১-১ ছকে সাজিয়ে ছিল, তাদের দলের যে সব খেলোয়াড়রা অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সাথে খেলেছেন তাদের নাম না নিলেই নয়, অ্যালেক্স, জর্ডান মুরে, গ্রেগ স্টুয়ার্ট, ঋত্বিক দাস এবং ডিফেন্ডার হার্টলি, রেন্থেলি। ম্যাচের প্রথম থেকেই অ্যালেক্স, ঋত্বিক দাস মাঠের বাম দিকটা এতটাই সচল রেখেছিল ও খেলাটিকে অত্যন্ত দৃষ্টি নন্দন হয়েছে, সাথে গ্রেগ স্টুয়ার্ট এর একটি অসাধারণ সেট পিস থেকে গোল।
কেরালা ব্লাস্টার এর কোচ ইভান ভাকমানভিচ তার দলকে ৪-৪-২ ছকে সাজিয়েছিল, তাদের ডিফেন্সে ছিল হরমনজোত খাবরা, লেস্কভিচ, ক্যানারিও, মিডফিল্ডে ছিল সাহাল সামাদ, জ্যাকসন সিং, আদ্রিয়ান লুনা ও আক্রমণে ছিল, ভাস্কোয়াজ ও পেরেয়েরা ডিয়াজ।এবছরের কেরালার দলটি অত্যন্ত শক্তিশালী ইতিমধ্যেই এই দলটি প্লায়াফস এর দৌড়ে চলে এসেছে।
প্রথমার্ধে খেলা শুরু হওয়ার সময় থেকে জামশেদপুর এফসি যথেষ্ট আক্রমণ শানিয়ে গেছে কেরালা ব্লাস্টার্স এর গোল মুখে, তারা প্রথমার্ধে প্রায় ৯ টি শর্ট নিয়েছে যার মধ্যে মাত্র দুটো শর্ট গোলে ছিল, কিন্তু সেই দুটি অন শট গোল গুলো কেরালা ব্লাস্টার্স এর গোলকিপার গিল তা বাঁচিয়ে দেয়। প্রথমার্ধের ১৪ মিনিটের মাথায় জামশেদপুর এর হার্টলি একটি পাস বারায় যা আলেক্সের পা তে গিয়ে পরে, ও অ্যালেক্স কেরালার পেনাল্টি বক্সের থেকে প্রায় অনেকটা বাইরে থেকে শর্ট নেওয়ার চেষ্টা করলে কেরালার ডিফেন্ডাররা তাকে ফাউল করে ফেলে, সেখান থেকে একটি ফ্রী কিক পায় জামশেদপুর এফসি, এবং গ্রেগ স্টুয়ার্ট সেই সুযোগটি হাতছাড়া করেনি অসাধারণ একটি শর্ট এর মাধ্যমে নিজেদের দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেয়।

তারপরে ১৯ মিনিটের মাথায় কেরালা ব্লাস্টার্স এর পেরেয়েরা ডিয়াজ ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন, তার কিছুক্ষণ পরে ২৭ মিনিটের মাথায় জামশেদপুর এফসির পেনাল্টি বক্সের মধ্যে কেরালা ব্লাস্টার্স অসাধারণ পাস খেলার মাধ্যমে আক্রমণে উঠে আসে, ও একটি শর্ট আসে যা জামশেদপুরের গোলকিপার রেহেনেশ শেভ করলেও ফিরতি বল কেরালার সামাদের পায়ে চলে যায়, এবং সামাদ সেই বলটিকে জামশেদপুরের গোলের জালে জড়িয়ে দেয় ও নিজের দলকে ১-১ পর্যায়ে নিয়ে যায়।

 দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হয় এবং দুই দল যথেষ্ট চেষ্টা করলেও তারপর আর কেউ গোল দিতে পারেননি, সব মিলিয়ে কেরালা ৬ টি শর্ট গোলে নিয়েছে ও জামশেদপুর এফসি ১৪ টি শর্ট গোলে নিয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে দুইদলের কোচ অনেক গুলো পরিবর্তন করলেও শেষে গোলের দেখা তারা পাননি, ও খেলাটি ১-১ এ ড্র হয়।

Journalist Name : Tamojoy Shrimany

Related News