গলা ব্যথা, ঢোক গিলতে সমস্যার কয়েকটি ঘরোয়া প্রতিকার

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

রাজ্যে তাপমাত্রা তলানিতে  ঠেকেছে। এই রকম আবহাওয়ায় অনেকরই ঠান্ডা লেগে গলায় ব্যথা হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অসুস্থ হওয়ার পূর্ব লক্ষণ হিসেবে গলা ব্যথা করে। গলা ব্যথার বিজ্ঞানসম্মত নাম হলো ফ্যারিঞ্জাইটিস। সাধারণত ঠান্ডা এবং ফ্লুর মতো জীবাণুর সংক্রমণের মাধ্যমে গলার এই সমস্যা হয়। গলায় শুষ্ক চুলকানি হয় এবং খাবার গিলতে ও ঢোঁক গিলতে সমস্যা হয়। তবে, গলা ব্যথার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কিছু ঘরোয়া টোটকা কাজে লাগাতেই পারেন। আমাদের হাতের কাছেই এমন কিছু জিনিস আছে, যেগুলি চটজলদি গলা ব্যথা দূর করতে পারে। দেখে নিন সেগুলি কী কী-
তুলসী কাড়া
তুলসী সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা সারাতে দারুণ কার্যকর। এক গ্লাস জলে কয়েকটা ফ্রেশ তুলসী পাতা, গোলমরিচ, লবণ ও আদা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। কিছুক্ষণ ফোটানোর পর ছেঁকে নিন। এটি গরম গরম পান করুন।
আদা চা
গলা ব্যথা সারানোর আরেকটি দাওয়াই হল আদা চা। আপনি প্রতিদিন চা যেভাবে প্রস্তুত করেন সেভাবেই করুন। তাতে কিছুটা ফ্রেশ আদা থেঁতো করে দিয়ে দেবেন।
লবণ জল
গলা ব্যথা উপশম করার সবচেয়ে দ্রুত এবং কার্যকর উপায়।  এক গ্লাস গরম জলে এক চামচ লবণ দিন। লবণ দ্রবীভূত না হওয়া পর্যন্ত চামচ দিয়ে নাড়তে থাকুন। লবণ জল দিয়ে প্রতিদিন গার্গল করুন।
লেবু জল
লেবু জলের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এটি গলা ব্যথা নিরাময়ে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি সরবরাহ করে।এক গ্লাস গরম জলে একটি লেবুর রস মেশান। আপনি চাইলে এতে অল্প চিনি মেশাতে পারেন। গরম অবস্থায় জলটা পান করুন। তবে যাদের সুগার আছে তারা চিনি ব্যবহার করবেন না।
মধু জল
ঠান্ডা লাগা সারাতে মধু খুবই কার্যকরী। এক গ্লাস গরম জলে দুই চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। এছাড়া, জলে না মিশিয়ে সরাসরি দুই চামচ মধু খেতেও পারেন। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা মধু খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।
আপেল সাইডার ভিনেগার
আপেল সাইডার ভিনেগার গরম জলে মিশিয়ে গার্গল করলে ব্যথা উপশম হয়, পাশাপাশি গলা ব্যথা নিরাময়ে করে। এতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে।এক গ্লাস গরম জলে দুই চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এটি দিয়ে কিছুক্ষণ গার্গল করুন। এতে স্বস্তি পাবেন।
হলুদ দুধ
সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা সারানোর জন্য ব্যবহৃত প্রাচীনতম প্রতিকারগুলির মধ্যে একটি হলুদ। এক গ্লাস দুধে এক চা চামচ হলুদ দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এবার এই গরম দুধ পান করুন।
বেকিং সোডা 
উষ্ণ জলে বেকিং সোডা দিয়েও গার্গল করতে পারেন। তাতে ব্যাক্টেরিয়া, ইস্ট ও ফাঙ্গাসের হাত থেকে রেহাই পাবেন। প্রয়োজনে প্রত্যেক তিন ঘণ্টা অন্তর এই মিশ্রণ দিয়ে গার্গল করতে পারেন।
যষ্টিমধু
যষ্টিমধু ঠান্ডা লাগা, গলা ব্যথা বা অ্যালার্জিতে বেশ উপকারী। গরম জলের সঙ্গে যষ্টিমধু মিশিয়ে গার্গল করলে গলাব্যথা দ্রুত কমে যায়। গলায় আরাম হয়।

Journalist Name : Susmita Das

Tags:

Related News