সকলেই নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে বেশ সচেতন। কখন কোন খাবারটা কতটা পরিমাণ খেতে হবে সেই বিষয়ে সকলেই বেশ পারদর্শী। অনেকেই আছেন যাঁরা নিজেদের ওজন কমাতে চান। আবার অনেকেই আছেন যাদের ওজন অতিরিক্ত কম। অনেকেই আছেন যারা মোটা হতে চান।
শরীর অতিরিক্ত রোগা বা মোটা থাকলে দেখতে অত্যন্ত খারাপ লাগে। যাদের ওজন বেশি তাদের ওজন কমানোর জন্য তৈরি ডায়েটের মেনু এবং যাদের ওজন কম তাদের ওজন বাড়ানোর জন্য ডায়েটের মেনু অনেকটাই আলাদা। অনেক সময় অপুষ্টির কারণেও ওজন কমে যায়।
জেনে নিন ওজন বাড়াতে ডায়েটের মধ্যে কোন কোন খাবার রাখতে হবে -
১. দুধ-
ওজন বাড়াতে ডায়েটের মেনুতে অবশ্যই দুধ রাখতে হবে। শুধু তাই নয় , দুধে এমন কিছু খাবার যোগ করতে হবে যা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। কারণ দুধে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। যা কোনো মানুষের শরীরে পুষ্টির যোগান দেয়
২. খেজুর -
খেজুরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে। পুষ্টিগুণে ভরপুর খেজুর। দুধে খেজুর মিশিয়ে তা পান করলে ওজন বাড়ানো যায়। এছাড়াও খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফাইবার এবং ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
৩. কলা -
কলা এমন একটি ফল যা ওজন কমাতে ও ওজন বাড়াতে উভয় ক্ষেত্রেই সাহায্য করে। কলাতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট ক্যালোরি থাকে। প্রতিদিন ২ টি কলা দিয়ে তৈরি কলার সরবত ওজন বাড়াতে অনেক সাহায্য করতে পারে।
৪. কিশমিশ -
১০০ গ্রাম কিশমিশে ২৯৯ ক্যালরি পাওয়া যায়। এটি প্রতিদিনের ক্যালোরি গ্রহণের ১৫ শতাংশ। দুধে কিশমিশ ভিজিয়ে রাখার পর এই দুধ খেলে ওজন বাড়তে পারে। কিন্তু খুব বেশি কিশমিশ খাওয়া এড়িয়ে চলা ভালো।
৬. ডুমুর -
দুধের সঙ্গে ডুমুর মিশিয়ে খেলেও ওজন বাড়তে পারে। ডুমুরে থাকে ভিটামিন সি, কে, এ এবং ই ।এছাড়াও ডুমুরে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং কপার। দুধের সঙ্গে ডুমুর খেতে হলে দুধ ফুটিয়ে তাতে ২ থেকে ৩টি ডুমুর দিতে হবে। দুধ ফোটানোর পর সামান্য ঠান্ডা করে পান করতে হবে।
৭. বাদাম -
বাদাম শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া যায়। বাদামের দুধ শুধু স্বাস্থ্যের জন্য নয় , ত্বকের জন্যেও উপকারী। এটি তৈরি করা খুব সহজ। আমন্ড বা কাজু বাদাম ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ভিজানো বাদাম পিষে তাতে দুধ মেশাতে হবে। বাদামে চর্বি ও ক্যালোরি পাওয়া যায়, যার কারণে এটি ওজন বাড়াতে সহায়তা করে।