#Pravati Sangbad Digital Desk:
জরায়ুর রোগে বেশিরভাগ নারীই আক্রান্ত হয়ে থাকেন। প্রাথমিক অবস্থায় জরায়ুর সংক্রমণ, একসময় তা থেকে ক্যানসারও হতে পারে। বিভিন্ন কারণে জরায়ুর অসুখ হয়ে থাকে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যৌনবাহিত রোগের জীবাণু জরায়ু সংক্রমণের কারণ হতে পারে। এছাড়াও গর্ভপাত, জরায়ুর কোনো অপারেশন, অনিরাপদ শারীরিক সম্পর্ক ইত্যাদির মাধ্যমেও জীবাণু ভেতরে ঢুকতে পারে। স্তন ক্যানসারের মতোই জরায়ু ক্যানসারও কঠিন একটি অসুখ। বিশ্বের অসংখ্য নারী জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। পরিসংখ্যান অনুসারে, প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে প্রায় আড়াই লাখ নারী জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত হন।
জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত নারীরা প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা করালে বেঁচে থাকার হার ৯৫ শতাংশ বেড়ে যায়। অনেকেই মনে করেন, জরায়ু ক্যানসার হয়তো প্রাপ্ত বয়স্কদের হয়ে থাকে। এটি ভুল ধারণা।
যে কোন বয়সেই মহিলাদের জরায়ু ক্যানসার হতে পারে। তবে বিশেষ করে ৫০ বছর বয়স্ক বা এর চেয়েও বেশি বয়সের মহিলারা জরায়ু ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। জরায়ু ক্যানসারকে ‘সাইলেন্ট কিলার’ বলা হয়ে থাকে। কারণ, এই অসুখ দেখা দিলে অনেক মহিলারাই এর প্রাথমিক লক্ষণগুলি বুঝতে পারেন না বা লক্ষণ দেখা দিলেও বিশেষ গুরুত্ব দেন না। তাই সুস্থ থাকতে এই অসুখের প্রাথমিক কিছু লক্ষণ সম্পর্কে জেনে রাখুন।
১. মাসিকের সময় প্রস্রাবের রাস্তায় অনিয়মিত রক্তক্ষরণ হয়
২. সহবাসের পর রক্তক্ষরণ হয়
৩. জরায়ুমুখ স্পর্শ মাত্রই সেখান থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে
৪. কোনো ধরনের ইনফেকশনের কারণে মাসিকের রাস্তা দিয়ে সাদা ও ঘন বা বাদামী রঙের দুর্ঘন্ধযুক্ত তরল স্রাব নি:সরন
৫. ঋতু সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ১ বছর পরেও রক্তস্রাব দেখা দিতে পারে
৬. তলপেটে ব্যাথা হতে পারে
৭. শেষের দিকে প্রস্রাব পায়খানা করতে সমস্যা, পিঠে ব্যাথা, শরীর ফুলে যাওয়া ও রক্তশুণ্যতা ইত্যাদি হতে পারে।
Journalist Name : Sampriti Gole