ডিম হলো সহজলভ্য এবং কম-বেশি সবার কাছেই জনপ্রিয় একটি খাবার। এটিকে প্রোটিন এবং পুস্টি উপাদানের পাওয়ার হাউসও বলা হয়। শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি, হাড় শক্ত করতে ও মেধার বিকাশে ডিম খুবই কার্যকর। এতে আরও আছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করে। আর কুসুমে থাকা ভিটামিন ডি হাড়ের জন্য ভালো।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অপুষ্টি, রক্তাল্পতা ও ডায়াবেটিসের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে প্রতিদিন অন্তত একটি করে ডিম খাওয়া উচিত।
একট সিদ্ধ ডিমের মধ্যে রয়েছে ৭৭ ক্যালোরি। 0.৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৫.৩ গ্রাম চর্বি, ২১২ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল, ৬.৩ গ্রাম প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন বি৫, ফসফরাস এবং সেলেনিয়াম। অ্যামাইনো অ্যাসিডের অন্যতম উৎসও কিন্তু ডিম।
৪০ পেরোলেই একাধিক সমস্যা জাঁকিয়ে বসে শরীরে। ফলে সেই সময় থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে। মেয়েদের ক্ষেত্রে হাড় দুর্বল হয়। আর তাই এই সময় কিন্তু ডিম এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। বরং নিয়ম করে রোজকার ডায়েটে রাখা দরকার ডিম। প্রয়োজনে কুসুম এড়িয়ে চলুন।
যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন ৪০ পেরোলে সপ্তাহে অন্তত ৭ টা ডিম খাওয়া উচিত। বিনা দ্বিধায় খেতে পারেন রোজ একটা করে ডিম। এতে কোনও রকম অসুবিধে হয় না। বরং শরীর থাকে সুস্থ। যাঁদের কোলেস্টেরল সীমার মধ্যে রয়েছে তাঁরা অবশ্যই খান।
সেদ্ধ ডিম খাওয়া সবথেকে বেশি ভালো, তার কারণ এতে তেলের কোনও ছোঁয়া থাকে না। যদি সেদ্ধ ডিম খেতে না ইচ্ছে করে তাহলে অল্প তেলে ডিমের ভুজিয়া করেও খাওয়া যায়। তাতে শরীরে কম তেল যাবে।