মার্চ মাস পড়তে না পড়তেই সূর্যের তাপ কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছিলো ।এখন এপ্রিল এর শুরুতে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে অসহনীয় হয়ে উঠছে।চল্লিশের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে তাপ ।তবে কাজের কোনো বিরাম নেই ।তাই এই রোদে গরমেও কাজে বাড়ির থেকে বেরোতে হচ্ছে সবাই কেই ।আর প্রচুর গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ায় শরীর কে রীতিমত দুর্বল করে দিচ্ছে ।শরীরে নানান রোগ এর প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে ।এই সময় শরীর কে ঠান্ডা ও হাইড্রেটেড রাখা খুব প্রয়োজন ।শরীর অতিরিক্ত গরম বা ডিহাইড্রেট হয়ে গেলে শরীরে নানান রোগ এসে বাসা বাঁধে ।তাই ডাক্তার এরাও এই সময় বেশি পরিমাণে জল খাওয়ার পরামর্শ দেন ।
এই সময় ডাক্তারেরা দিনে তিন থেকে চার লিটার জল খাওয়ার পরামর্শ দেন ।নাহলে শরীর ডি হাইড্রেটেড হয়ে আরো সমস্যা বাড়তে পড়ে ।তবে অনেকেই এত পরিমাণে জল খেতে পারে না ।তাহলে শরীর কে সুস্থ রাখা যাবে কিভাবে ? সম্ভব ।শুধু জল ছাড়াও এমন অনেক পানীয় রয়েছে যার মাধ্যমে শরীরের অনেক সমস্যা গায়েব হয়ে যায় । গরমে সবসময় জল না খেতে ইচ্ছে হলেও এমন কিছু ফল খাওয়া যেতে পারে যেগুলি তে জলের পরিমাণ বেশি ।বা ফ্রুট জুস ও খাওয়া যেতে পারে ।তবে দোকানের ফ্রুট জুস না কিনে বাড়িতেই সতেজ ফলের জুস বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে ,যেটি হবে অনেক বেশি হাইজেনিক ও পুষ্টিকর ।
তেমন ই তিনটি পানীয় এর উল্লেখ আজকের প্রতিবেদনে করা হলো -
১. এই গরমে বাড়িতেই বেদনার সরবত বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে ।বেদানায় রয়েছে ভিটামিন সি, কে, ই, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন এবং ফসফরাসের মতো খনিজ পদার্থ । গরমের দিনে শরীর ঠান্ডা রাখতে খুবই উপকারী পানীয় ।
কিভাবে বানাবেন বেদনার সরবত ?
বেদানা ছাড়িয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো জল দিয়ে মিক্সার গ্রাইন্ডারে ভাল করে রস তৈরি করে নিন । এরপর রসের মধ্যে অল্প লেবুর রস ও নুন মিশিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা বেদানার রস পান করুন ।
২. গরমে একটি উপকারী ফল হলো তরমুজ ।তরমুজের প্রায় নব্বই শতাংশ ই হলো জল ,যা শরীরে জলের ঘাটতি মেটায় ।তাই গরমকালে তরমুজের সরবত খাওয়া যেতে পারে ।এছাড়াও এতে ভিটামিন সি থাকে ।
তরমুজ ছোট ছোট করে কেটে বীজ ফেলে দিয়ে, তার মধ্যে লেবুর রস, চাট মশলা ও একটু বিটনুন দিয়ে মিক্সার গ্রাইন্ডারে জুস তৈরি করে নিন । খাওয়ার আগে এর মধ্যে একটি চিয়া সিডসও দেওয়া যেতে পারে ।
৩. গরমকালে বাড়িতেই বানানো যেতে পারে বেলের শরবত ।এটি শরীর কে ঠান্ডা রাখে ।ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখে ।কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে রাখে । জলের মধ্যে কয়েক ঘণ্টা বেল চুবিয়ে রেখে সেটি হাত দিয়ে মিশিয়ে সরবত তৈরি করতে হয়। প্রয়োজনে অল্প চিনি বা বিট নুন দেওয়া যায়। অনেকে বেলের পানা ছাঁকনিতে ছেঁকে খান। এতে ফাইবার কমে যায়। তার বদলে মিক্সিতে বেল ভালো করে গ্রাইন্ড করে নেওয়া ভালো।এতে কয়েক টুকরো বরফ ও দেওয়া যেতে পারে এই শরবত যেমন সুস্বাদু তেমনই পুষ্টিকর।।