হেঁচকি শব্দটির সঙ্গেই জড়িয়ে আছে অস্বস্থি। এক্ষেত্রে খাওয়ার পরই মূলত হেঁচকি ওঠে। নানা কারণে হেঁচকি উঠতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করে, দ্রুত খাবার খাওয়া, কোল্ডড্রিংকস পান করা ইত্যাদি কারণে এই সমস্যা বেশি হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হেঁচকির সমস্যা মিটে যায়। তবে অনেকের একনাগাড়ে হেঁচকি ওঠে।
তখন এই উপায়ে মিলতে পারে মুক্তি -
ঘরোয়াভাবে হেঁচকি থামানোর প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে মূলত দুইটি মূলনীতি অনুসরণ করা হয়।
একটি হলো রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়া যেন শ্বাসনালীতে খিঁচুনি বন্ধ হয়।
আরেকটি হলো শ্বাসপ্রশ্বাস ও গলধকরণের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা 'ভ্যাগাস' স্নায়ুকে উদ্দীপ্ত করা।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী কয়েকটি পদ্ধতিতে হেঁচকি থামানো যায়।
কাগজের ব্যাগে নিশ্বাস ফেলা (ব্যাগ মাথা দিয়ে ঢোকাবেন না)
দুই হাঁটু বুক পর্যন্ত টেনে ধরে সামনের দিকে ঝুঁকে পড়া
বরফ ঠাণ্ডা জল খাওয়া
কিছু দানাদার চিনি খাওয়া
লেবুতে কামড় দেয়া বা একটু ভিনিগারের স্বাদ নেয়া
স্বল্প সময়ের জন্য দম বন্ধ করে রাখা
হেঁচকি সাধারণত আপনা থেকেই ভাল হয়ে যায়, তবে যদি অতি দীর্ঘসময় ধরে হেঁচকি উঠতে থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন।
হেঁচকির তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
এছাড়া নিয়মিত হেঁচকিতে দৈনন্দিন জীবনের কার্যক্রম ব্যহত হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার উপদেশ দেন বিশেষজ্ঞরা।