শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে খনিজ ও ভিটামিন। আর বিভিন্ন খনিজের মধ্যে ক্যালসিয়াম হচ্ছে এমন একটি উপাদান, যা আমাদের হাড় ও দাঁতের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। কম বয়সে শরীরে ভরপুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকলেও, বয়স বাড়লে এই উপাদানের ঘাটতি দেখা দেয়। সেজন্য দুধ, ডিম এবং অন্যান্য ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু বুঝবেন কী ভাবে আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি তৈরি হয়েছে?
অফিসে একটানা বসে কাজের জন্য অনেকেই পিঠে ব্যথার সমস্যায় ভোগেন। শরীরচর্চা ও যোগাসনের মাধ্যমে এই ব্যথা দূর করা সম্ভব। তবে এই সমস্যা দীর্ঘ দিনের হলে বুঝবেন আপনার হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল নেই।
শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে পেশি ব্যথা, ক্র্যাম্প এবং খিঁচুনি অনুভব করতে পারেন। হাঁটাহাঁটি বা নড়াচড়া করার সময় উরু ও বাহুতে ব্যথা ছাড়াও হাত, বাহু, পা ও মুখের চারপাশে অসাড়তাও অনুভব হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
নখের স্বাস্থ্য দেখেও বুঝতে পারবেন হাড় মজবুত আছে কি না! বার বার নখ ভেঙে গেলে বুঝতে হবে, শরীর দুর্বল হাড়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ক্যালসিয়ামের অভাব হলে চরম ক্লান্তি ভাব আসতে পারে। সব সময় আলস্য বোধ হতে পারে। এর প্রভাবে অনিদ্রার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এছাড়া হালকা মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, মনোযোগের অভাব, ভুলে যাওয়ার মতো লক্ষণও প্রকাশ পেতে পারে।
কোনও কিছু আঁকড়ে ধরতে গেলে হাতে ব্যথা লাগছে? গ্লাস ধরতে সমস্যা? আটা মাখতে ব্যথা লাগছে? হাড়ের শক্তি ও নমনীয়তা হ্রাস পেলে এমনটা হতে পারে।
শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে ত্বক শুষ্ক হয়ে, নখ ভেঙে যাওয়া, অত্যধিক হারে চুল ঝরা, এগজিমা, ত্বকের প্রদাহ এমনকি সোরিয়াসিসের মতো সমস্যাও হতে পারে।
দাঁতের মাড়ি আলগা হয়ে গেলেও দুর্বল হাড়ের লক্ষণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। বয়সের আগেই দাঁত পড়তে শুরু করলে তা দুর্বল হাড়ের লক্ষণ।
মস্তিষ্কের সক্রিয়তা কমে জটিল সমস্যা হতে পারে। এর পাশাপাশি হাড়ের ক্ষয় এবং তার জেরে অস্টিওপোরোসিস ও অসহ্য যন্ত্রণা উপরি পাওয়া। প্রাথমিক স্তরে অবশ্য সেভাবে কিছু বোঝা যায় না। তবে বিনা চিকিৎসায় থাকলে এক ঝটকায় আপনার শরীর মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। জীবন-মরণ সমস্যাও হতে পারে।