আমাদের হাতের কাছে থাকা নানা খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে ফল খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। ফলের মধ্যে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এইসব মিলিয়ে ফল আমাদের শরীর ভালো রাখতে পারে। তাই প্রতিটি মানুষের দিনে অন্তত একটি ফল খাওয়া উচিত।
এবার ফলের মধ্যে লেবুর কিন্তু কোনও বিকল্প নেই। এই খাবারটি অনেকেই খেতে ভালোবাসেন। আর খেতে পারলেই আপনার সমস্যার হয়ে যেতে পারে সমাধান। আসলে লেবুর গুণের কোনও শেষ নেই। এই ফলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, বি৬, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, আয়রন, প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ফোলেট, নিয়াসিন, থিয়ামিন ইত্যাদি। এই সমস্ত উপাদান লেবুকে অনন্য খাদ্যে পরিণত করে। তাই প্রতিটি মানুষের অবশ্যই লেবু খাওয়া উচিত।
বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, ইমিউনিটি বাড়ানোর পাশাপাশি ত্বক, চুল, ইউরিক অ্যাসিড কমানোর মতো কাজেও লাগে সিদ্ধহস্ত এই ফল। এবার আসুন জানা যাক এর গুণাগুণ -
শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি কমে
যারা নিয়মিত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান, তাদের অন্যদের তুলনায় শ্বাসকষ্ট কম হয়- এমনটাই বলছে গবেষণা। ভিটামিন সি এর অন্যতম উত্স লেবু। তাই প্রতিদিন লেবু খাওয়ার চেষ্টা করুন।
ক্যানসার থেকে দূরে থাকা যায়
প্রতিদিন এক গ্লাস লেবু জল খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়
আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করে লেবুতে থাকা ভিটামিন সি। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয় ও অনেক ধরনের অসুখ থেকে দূরে থাকা যায়।
হজমের গণ্ডগোল দূর হয়
অ্যাসিডিটি ও হজমের সমস্যা দূর হয় নিয়মিত লেবু খেলে।
ইমিউনিটি বাড়ায়
আসলে লেবুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন সি পারে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে। তাই নিয়মিত লেবু খাওয়া মানুষের সংক্রামক রোগের আশঙ্কা কিছুটা হলেও কম। এভাবেই ভালো থাকা যায়।
কিডনি স্টোন
এছাড়াও দেখা দিয়ে যে কিডনি স্টোনের মতো সমস্যাতেও লেবু কার্যকরী। এক্ষেত্রে লেবুর রসের এমন গুণ রয়েছে যা ছোট আকারের স্টোন গলিয়ে দিতে পারে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে সামান্য নুনের সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে নিন লেবু। তবে প্রেশার থাকলে নুন মেশাবেন না।
ওজন কমে
এক গ্লাস জলে এক চা চামচ লেবু মিশিয়ে পান করুন প্রতিদিন। বাড়তি ওজন দূর করতে সহায়ক এটি।