জ্বর সর্দি কাশি গলা ব্যাথা কিংবা ওমিক্রনে আক্রান্ত? জেনে নিন কোন কোন খাবার খেলে দ্রুত মুক্তি পাবেন

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

নতুন বছর পড়তে না পড়তেই ফের মানব জীবনে থাবা বসিয়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউ অমিক্রন। আর দেশ জুড়ে অমিক্রনের কারণে গত কয়েক সপ্তাহে ভারতে ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় লাখ খানেক লোক। তবে এর মধ্যে যারা টিকা নিয়েছেন তাদের লক্ষণ কিছুটা কম হতে পারে। যদিও এখন ঘরে ঘরেই সকলের জ্বর সর্দি কাশির সমস্যা লেগেই রয়েছে। তাই এই সব থেকে শরীরকে দূরে রাখতে খেতে হবে প্রোটিন জাতীয় খাওয়ার। কী করে বুঝবেন কোনটা খাবেন আর কোনটা খাবেন না। 
চিকিৎসকদের মতে অমিক্রনের অন্যতম লক্ষণ গুলির মধ্যে একটি খিদে না পাওয়া। প্রচন্ড গলা ব্যাথা। আর এসবের জেরে খাওয়ার ইচ্ছে চলে যায়। যার জেরে শরীরে নিউট্রিশন কমতে থাকে। কারণ স্টমাক তখন খাবার চায় কিন্তু মস্তিষ্ক তা অনুভব করতে পারে না। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত থেকে দ্রুত কীভাবে মুক্তি পবেন সেই বিষয়ে টিপস দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। জেনে নিন অমিক্রণের লক্ষণ দেখা দিলে কোন খাবার কয়েকটি খেলে খুব দ্রুত নিউট্রিশন পাবেন। 
১. ইয়োগার্ট বা টক দই- 
চিকিৎসকদের mote ওমিক্রনে সংক্রমিত হলে সবচেয়ে ভালো পথ্য হল ইয়োগার্ট। এতে গলা নরম এবং ঠান্ডা থাকে। পাশাপাশি এটি প্রোটিন সম্পন্ন হওয়ায় খিদের অভাব তা পূরণ করে। তাই ওমিক্রণের লক্ষণ দেখতে পেলে অন্যান্য খাওয়ারের সাথে অবশ্যই রাখুন দই। তবে এই দই আরো স্বাস্থ্যকর করে তুলতে তার সঙ্গে কিছুটা গ্রানোলা মিলিয়ে খেতে পারেন। এটি আরও ভালো কাজ দেয়। এছাড়াও যদি শরীরে পটাশিয়ামের অভাব থাকে তাহলে দইয়ের সাথে একটা কলাও কেটে দইয়ের মধ্যে দিয়ে দিতে পারেন কিন্তু মাথায় রাখবেন যে কলার টুকরো ছোট ছোট এবং পাতলা হয়। না হলে গিলতে অসুবিধা হতে পারে। 
২. পাতাওয়ালা সবজি- 
চিকিৎসকদের মতে পাতাওয়ালা সবজি যেমন বাঁধাকপি, লেটুস, পালং, ফুলকপি, মেথি সাক, রাই শাক এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও শরীরে যাবতীয় নিউট্রিশনের অভাব মেটাতে অন্যান্য মরশুমি জুস এবং শাক খেতে পারে। 
৩. প্রোটিন শেক- 
এই সময় সবসময় হালকা খাবার খাওয়া উচিত। এ কারণে তারা চাইলে প্রোটিন শেক খেতে পারেন। প্রোটিন শেক তুলনায় হালকা হয় এবং এটি সেবন করলে গলায় চাপ পড়ে না এ কারণে নিজেদের পছন্দের প্রোটিন পাউডার দুধের অথবা জলে মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও প্রোটিন শেকের পাশাপাশি শরীরে সোডিয়ামের অভাব দেখা দিলে ইলেকট্রোলাইটস এবং ইলেকট্রন পাউডার সরাসরি সেবন করতে পারেন। এটি যে কোন ওষুধের  দোকানে কানে পেয়ে যাবেন। 

৪. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাওয়ার- 
লেবুজাতীয় ফলে ভিটামিন সি প্রচুর মাত্রায় থাকে। যার ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে কাজ করে। কিন্তু অনেক সময় সাইট্রাসওয়ালা ফল খাওয়া উচিত নয়। তবে ওমিক্রনের ক্ষেত্রে রোগীরা গলায় ব্যথা, খুস খুস ভাব অনুভব করলে সেক্ষেত্রে টক ফল না খাওয়াই ভালো। তবে সেসব সমস্যা না থাকলে এবং ওমিক্রন না হলে মুসম্বি, কমলালেবুর মতো ফল খাওয়া যেতেই পারে। 

৫. স্যুপ জাতীয় খাওয়ার- 
জ্বর সর্দি কাশি হলে এমনিই মুখে স্বাদ থাকেনা। তাই এই সময় শরীরে প্রয়োজনীয় নিউট্রিশনের যোগান দিতে সলিড খাওয়ার পরিবর্তে বেছে নিন লিকুিইড জাতীয় খাওয়ার। যা হজম করা সহজ এবং শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ছড়িয়ে পড়তে সুবিধা হয়। তাই এই সময় যেকোনো সবুজ সবজি অথবা ছোট ছোট চিকেনের টুকরো দিয়ে স্যুপ বানিয়ে খেতে পারেন। যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলবে।

Journalist Name : Sohini Chatterjee

Related News