#Pravati Sangbad Digital Desk:
প্রতিদিনের রান্নায় আলু আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। অর্থাৎ আলু ছাড়া আমরা অচল। আলু হল সোলানাম টিউবারোসাম উদ্ভিদের একটি স্টার্চি কন্দ জাতীয় ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন উদ্ভিদ।একটি সাধারণ কাঁচা আলুতে রয়েছে ভিটামিন সি ২৪%, ভিটামিন বি৬ ২৩%, ফাইবার ৩.৮গ্রাম, প্রোটিন ৪.৩গ্রাম, ফ্যাট ০.২গ্রাম, ক্যালোরি ১৬১, কার্বোহাইড্রেট ৩৬.৬গ্রাম, পটাশিয়াম ২৬%, ম্যাংগানিজ ১৯%, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম ১২%। আলু সর্বপ্রথম চাষ হয় আমেরিকাতে। প্রি-কলম্বিয়ান সময়ে আমেরিকার আদি অধিবাসীদের মধ্যে আলুর চাষাবাদ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। তাই আলুই তখন ছিল আমেরিকার প্রধান খাদ্য। ভারতীয় উপমহাদেশে কখন আলু চাষ শুরু হয়েছিল তা সঠিকভাবে জানা যায় না। ধারণা করা হয় যে, সতেরো শতকের গোড়ার দিকে পর্তুগিজ নাবিকরা ভারতে প্রথম আলু নিয়ে আসে। ১৮৪৭ সালে ইংল্যান্ড থেকে প্রকাশিত ‘দ্য গার্ডেনিং মান্থলি’ ম্যাগাজিনের একটি সংখ্যায় ভারতে আলু চাষ সম্পর্কে প্রথম রেকর্ড দেখা যায়। প্রথমদিকে আলুর চাষ হতো কলকাতার পার্শ্ববর্তী এলাকাসমূহে, সেখান থেকে আলু চাষের প্রবর্তন হয় চেরাপুঞ্জিতে। আলুগাছ বহু কীটপতঙ্গ দ্বারা আক্রান্ত হয় এবং অনুকূল অবস্থায় এগুলি মাঠের ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে থাকে। সর্বাধিক ক্ষতিকারক পোকাগুলির মধ্যে কাটুইপোকা (cutworm), উড়চুঙ্গা, পাতা ফড়িং, আলুর টিউবার মথ, জাবপোকা, বিটল অন্যতম।
উপকারিতাঃ-
১) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ – আলু দেহের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কারণ, আলুতে রয়েছে কুকোয়া মাইনাস নামে এক ধরনের রাসায়নিক। আলু দেহের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখলেও, অতিরিক্ত আলু খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়ে। ফলে অতিরিক্ত ওজনও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা থাকে।
২) ত্বকের উপকারী – আলু খাওয়ার পাশাপাশি যদি আলু বেটে বা আলুর রস ত্বকে লাগালে বিভিন্ন দাগ, র্যাস, ফুসকুড়ি, চোখের নিচে কালো বলিরেখা লোপ পায় ও ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করে।
৩) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা – আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৪) হজমে সাহায্যকারী – হজমের পক্ষে আলু উপকারী। কারণ আলুতে রয়েছে হাই ফাইবার।
৫) পোড়া দাগ দূরীকরণ – আলুতে উপস্থিত ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম ইত্যাদি খনিজ পদার্থ যা ত্বকের জন্য জরুরি, সাথে রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
৬) মানসিক চাপ হ্রাস – আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬ রয়েছে, যা মন ভালো রাখার জন্য দুটি উপাদান সেরেটোনিন ও ডোপামিন মানে নিওট্রান্সমিটার গঠনে সাহায্য করে। আসলে নিওট্রান্সমিটার মস্তিষ্কে অনুভূতি প্রদান করে থাকে ও মানসিক চাপ কমিয়ে মন ভালো রাখতে সাহায্য করে।
Journalist Name : Swarnalye Paul