অলিম্পিক শুরুর আগেই ওমিক্রনের থাবা বেজিং -এ

banner

#Pravati Sangbad Digital:

২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনে অজানা জ্বরের খোঁজ মিলেছিল, কিছু দিনের মধ্যেই সেই অজানা জ্বর মহামারীর আকার ধারন করে, যা এখনও গোটা বিশ্বে থাবা বসিয়ে রেখেছে। চিকিৎসকদের গবেষণায় সেই জ্বরই করোনা। চীনের উহান প্রদেশে এর উৎপত্তি। ২০২০ সাল শুরুর দিকেই এই মারণ ভাইরাস গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পরে, যাতে কার্যত এখনও তালা বন্দি বিশ্বের অনেক দেশ। আর এবার চীনের বেজিং এই থাবা বসিয়েছে করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রন। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে চীন একের পর এক পন্থা অবলম্বন করেছে, ওমিক্রন ঠেকাতে কড়াকড়ি করেছে চিন, সংক্রমণ ধরা পরলেই ১৪ দিনের জন্য কার্যত কোয়ারান্টিন ক্যাম্পের নামে রোগীদের বন্দি করে রাখা হচ্ছে, কিন্তু এত কিছু করেও শেষ রক্ষা হল না। রাজধানী বেজিংয়ে অবশেষে থাবা বসিয়েছে অতি সংক্রামক ওমিক্রন। সামনেই শুরু হবে শীত কালীন অলিম্পিক, কিন্তু অলিম্পিক শুরুর ৩ সপ্তাহ আগেই ওমিক্রন প্রবেশ করল বেজিংয়ে। গত শনিবার প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মেলে বেজিংয়ে আর তার পরেই ঘুম উড়েছে চিন সরকারের। সংক্রমণের খবর সামনে আসতেই লকডাউন করা হয়েছে ওই জায়গাটি। সেই সাথে সংক্রমিত ব্যাক্তির বাড়ি এবং অফিস ঘিরে ফেলে চিন সেনা, শুরু হয় গণ পরীক্ষা, সংক্রমণ যেই এলাকাই ধরা পড়েছে সেই এলাকার প্রায় আড়াই হাজার মানুষের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।


বেজিং চীনের রাজধানী সবার সাথে সাথেই চীনের মুখ্য রাজনৈতিক শহরও বটে, বেজিং  শহরেই বাস চীনের শীর্ষ নেতাদের, সেই নিয়েও বাড়তি উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে চিন প্রশাসন। তাছাড়া সামনেই শুরু হওয়ার কথা শীতকালীন অলিম্পিকের, আগামী মাসের ৪ তারিখ থেকে বেজিংয়ে অনুষ্ঠিত হবে অলিম্পিক, সেই জন্য বিভিন্ন দেশের অ্যাথলিটকরা আসতে শুরু করেছে চিনে, তার মাঝেই ওমিক্রন আতঙ্ক গ্রাস করছে চিন সরকারকে। এক সাথে এত মানুষ বাইরে থেকে আসলে কিভাবে মানা সম্ভব হবে কোভিড বিধি, সংক্রমণ ঠেকানো যাবে কিভাবে সেই নিয়ে চিন্তাই রয়েছে প্রশাসন। কিছু দিন পরেই চিনে লুনার নিউ ইয়ার, সেই উপলক্ষে বহু চিনা নাগরিক বাইরের দেশ থেকে বাড়ি ফিরে আসেন, সেক্ষেত্রে কিভাবে ওমিক্রন সামাল দেওয়া যাবে তা নিয়েও তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।


আন্তর্জাতিক উড়ানের পাশাপাশি দেশের ভিতরের বিমান উড়ানেও নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে চিনে, এত কিছুর পরেও কিভাবে ওমিক্রন ছড়িয়ে পরল তা ভাবাচ্ছে বেজিং প্রশাসনকে। সামনে অলিম্পিক কিভাবে পালিত হবে তা নিয়েও উদ্বেগে চিন সরকার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেখানে ওমিক্রন দাপট দেখাতে শুরু করেছিলো এক দেড় মাস আগে ইতিমধ্যেই সেখানে ওমিক্রন কামড় আলগা করতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞদের কথা অনুযায়ী ওমিক্রন যত দ্রুত সংক্রমণের শিখর ছোঁবে ঠিক তত দ্রুত নেমে আসবে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত চিনে সেই ভাবে ওমিক্রন থাবা বসাতে পারেনি, সবে একজন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। সেই নিয়ে দুশ্চিন্তায় প্রশাসন। ব্রিটেন, আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা যেখানে এতদিন ওমিক্রন তীব্র প্রকোপ দেখিয়েছে সেখানেও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে।

Journalist Name : SABYASACHI CHATTERJEE

Tags:

Related News