নিত্য নতুন দিনে দুধই প্রয়োজন

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

দুধ, কথাটি শুনে অনেকেই নাক সিটকায় এমন কি দুধের গন্ধও সহ্য করতে পারে না। অথচ নিত্যদিনে দুধ ছাড়া আমরা অসম্পূর্ণ, হোক সেটা আইসক্রিম বা চিজ স্যান্ডউইচ, ঘি বা মাখন, পনির বা দই। দুধ বিভিন্ন প্রোটিন, ফ্যাট, ক্যালসিয়াম দ্বারা সমৃদ্ধ। যারা দুধ গ্রহণ করতে পারে না, তারা এই দুধসৃষ্ট সামগ্রী থেকে দুধের উপকার পেয়ে থাকে।
১) ছানা ও মিষ্টি – ছানায় রয়েছে রিবোফ্ল্যাভিন নামক একটি ভিটামিন, যা দেহের শারীরিক বৃদ্ধিতে ও দেহের শক্তির সঞ্চারে সহায়তা করে। হার্টের সমস্যা, লো প্রেশার, কিডনির সমস্যার মতো বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে ছানার জলও খুব উপকারী। কারণ ছানার সাথে সাথে তার জলেও অনেক পুষ্টি থাকে। এছাড়া, ছানা থেকে তৈরি মিষ্টিও আমাদের সকলেরই পছন্দ।
২) মাখন – মাখন হল নানারকম ভিটামিনে পরিপূর্ণ। এতে উপস্থিত ভিটামিন এ, ডি এবং ই ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। ভিটামিন কে২ হাঁড় ভাঙা, প্রোস্টেট ক্যান্সারের মতো আশঙ্কা কমিয়ে আনে। এছাড়া, জয়েন্টের সমস্যা দূরীকরণে মাখন উপকারী। মাখনে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন যা চোখের জন্য উপকারী। মাখন ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধিতে, শারীরিক বিপাক ক্রিয়ায়, বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৩) দই – আমরা প্রত্যেকেই দই খেতে ভালোবাসি, হোক সেটা টক বা মিষ্টি। কিন্তু মিষ্টি দইয়ের থেকে টক দইয়ের উপকারিতা বেশি, আর টক জাতীয় যেকোনো খাবার শরীরের পক্ষে উপকারী। দইতে উপস্থিত ল্যাক্টিক অ্যাসিড ও ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করা মাত্র দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে জোরালো করে, ফলে ভাইরাল ফিবাবের মতো কোনো অসুখ ধারের কাছে আস্তে পারে না। দইতে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া দেহের হজম শক্তিতে সাহায্য করে, যারা নিয়মিত ডায়েট অনুসরণ করে তারা তাদের খাদ্যের তালিকায় টক দই রাখতে পারে, কারণ নিয়মিত দই খেলে দেহের কর্টিজল হরমোনের ক্ষরণ হ্রাস পায়, ফলে প্রায় ২২ শতাংশ ওজন কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া ত্বকের সতেজতা বৃদ্ধি, হাড় ও দাঁতে ক্যালসিয়াম প্রদান করে তাদের ভিতর থেকে শক্ত করে, হৃদপিণ্ডের ক্ষমতা বাড়ায়, চাপ ও উদ্বেগ কমায়, মাইক্রোনিউট্রিইয়েন্টসের ঘাতটির দূরীকরণ ইত্যাদিতে সাহায্য করে।
৪) ঘি – গরমকালে গরম ভাতে ঘি আমাদের সকলেরই প্রিয়। ঘিতে ফ্যাট থাকার কারণে যেমন দেহের মেদ বৃদ্ধি পায়, তেমনি ঘিতে কিছু ভিটামিনও আছে যার ফলে আমরা অনেক উপকারও পেয়ে থাকি। যেমন – কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে, মাথা ব্যাথা দূরীকরণ, রাগ নিয়ন্ত্রণ, এলার্জি কমাতে, হজমশক্তি বৃদ্ধিতে, ক্যান্সারের মাত্রা হ্রাস করতে, হাড় ভালো রাখতে, দেহের ভিটামিনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৫) পনির – ফ্যাট, প্রোটিন, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ও বিভিন্ন খনিজ পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত পনির। টাইপ ২ ডায়বেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, দেহকে সুস্থ-সবল রাখতে সাহায্য করে, পনিরে থাকা ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ এবং বি১২, জিং হাড় ও দাঁতকে মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
৬) চিজ – চিজ কথাতার মধ্যেই যেন এক আনন্দ লুকিয়ে আছে। তাই এর নাম শুনলেই মন যেন খুশিতে ভরে যায়। এই উৎফুল্লতা বিশেষত শিশুদের মধ্যেই বেশি লক্ষ্য করা যায়। চিজে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম একত্রে থাকায় এটি যৌগ উপাদান হিসেবেও কাজ করে। রক্তচাপ কমাতে, দেহের ওজন বৃদ্ধিতে, হাড় ও দাঁতের মজবুতিতে, অস্টিওপোরোসিস নিরাময়ে,  প্রি-মেন্সট্রুয়াল সিনড্রোম নিরাময়, মাইগ্রেনের সমস্যা হ্রাসে, দেহের ইমিউনিটি বুস্টার বাড়াতে, উজ্জ্বল ত্বক পেতে, চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে, হাইপারটেনশন নিরাময় চিজ অনেক উপকারী। এছাড়া গর্ভাবস্থায় চিজ মা ও শিশুর জন্য উপকারী।
৭) আইসক্রিম – আইসক্রিম আমরা সকলেই খেতে ভালোবাসি, কিন্তু এই আইসক্রিম আমাদের অনেক উপকারেও লাগে। আইসক্রিমে উপস্থিত ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম দেহের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। আইসক্রিম সেরোটিনের মাত্রা বাড়িয়ে আমাদের ভালো অনুভূতির হরমোন হিসেবে কাজ করে।
৮) দুধের সর – ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি, কালো দাগ দূর করতে সহায়তা করে। 

Journalist Name : Swarnalye Paul

Tags:

Related News