ন্যাশনাল ইনভারমেন্টাল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (নিরি) র শংসা প্রাপ্ত থাকলে তা সবুজ বাজি বলে গণ্য করা হবে। বাজিতে ব্যবহৃত বোরিয়াম সল্ট এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি আছে যা মূলত বায়ু দূষণের প্রধান কারণ। তবে ব্যবসায়ীরা জানান সবুজ বাজি সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। ফলে কলকাতা পুলিশ ও বাজি ব্যবসায়ীদের বৈঠকে এই বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। লালবাজার এক নির্দেশিকায় জানিয়েছে নিরি- র লোগো বা হলোগ্রাম থাকতে হবে সবুজের প্যাকেটে। এছাড়াও থাকবে কিউআর কোড যা স্ক্যান করলে নিরি -র শংসাপত্র সবুজ বাজি কি না বোঝা যাবে।
যদিও বাজি পোড়ানোর ব্যাপারে প্রশাসন কড়াকড়ি হয়েছে তবুও শহরে কালীপুজোর আগে থেকেই শব্দ বাজির শব্দ ভেসে আসছে ইতিমধ্যেই। চোরাগোপ্তা চালান এবং বিক্রি হয়ে যাওয়া বাজিগুলি পোড়ানো হচ্ছে এমন ধারণা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। মার্চ থেকে বাজি ঢুকতে শুরু করেছে রাজ্যে। ইতিমধ্যে তা ছড়িয়েও পড়েছে। এখন প্রশ্ন আদালতের নির্দেশ মেনে পুজোর দিনে শুধু বাজি ফাটবে কিনা। ব্যবসায়ীদের মত করোনা মহামারী, আদালতের রায় ইত্যাদির কারণে গত বছর থেকেই ব্যবসা মার খাচ্ছে। পরিবেশবান্ধব বাজি ফাটানোর রায় দিয়েছে আদালত তাতেই তারা খুশি। অপরদিকে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ বুধবার রাত অব্দি বায়ু দূষণের তথ্য প্রকাশ করেছে যা কিছু কিছু জায়গায় ২০০ সূচকের উপরে ছিল যা একান্তই খারাপ বলে পর্ষদের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে।
নিষিদ্ধ বাজি বা বেআইনি বাজি ফাটানো রুখতে পুলিশ কি ব্যবস্থা নেবে তার সূত্রে লালবাজার থেকে প্রকাশ করা হয়েছে যে কিছু ক্ষেত্রে ড্রোনের সাহায্য নেওয়া হবে। যেহেতু পরিবেশবান্ধব বাজির কোন তালিকা নেই তাই কোনটা আইনি আর কোনটা বেআইনি তা নিয়ে বিভ্রান্ত তারা। তবে শব্দ বাজি ফাটানোর স্থানীয় থানা গুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। প্রতি থানায় বিশেষ টহলদারি দল গঠন করা হয়েছে। তবে এ কথা ঠিক আলোর উৎসব এর সাথে বাজি উৎসব দীপাবলি প্রতিবছর এ সময় দূষণ এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যায় করোনা যেহেতু শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত অসুখ এর ফলে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে তাই বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন অনেকেই। পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, সুপ্রিম কোর্ট বা কলকাতা পুলিশ যতই নিয়ম তৈরি করে দিক শেষ পর্যন্ত দূষণ নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি সাধারণ মানুষের হাতেই। তাই এখন সময় বলতে পারবে মানুষ কতটা সচেতন।