দেশে চালু হতে চলেছে ই-পাসপোর্ট

banner

#pravati sangbad digital desk:

ভারতের পাসপোর্ট উপভোক্তাদের জন্য খুব তাড়াতাড়ি আসতে চলেছে সুখবর। পাসপোর্ট ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে আরও সুরক্ষা বলয় যোগ করেছে কেন্দ্র। ১লা ফেব্রুয়ারি লোকসভায় পেশ করা ২০২২-২০২৩ এর কেন্দ্রীয় বাজেটে নির্মলা সিতারমন জানিয়েছেন, ২০২২-২০২৩ অর্থবর্ষে ডিজিটাল প্রকল্প হাতে নিতে চলেছে কেন্দ্র। এর ফলে আগামীদিনে চিরাচরিত পাসপোর্ট এর বদলে আসতে চলেছে আত্যাধুনিক মাইক্রোচিপ বসানো বিশেষ পাসপোর্ট। দেশবাসী যাকে বলছে “ই-পাসপোর্ট”।
এই “ই-পাসপোর্ট” টা কি? এটি হল একটি বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট যাতে একটি এমবেডেড ইলেক্ট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ রয়েছে। ইলেক্ট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপের মধ্যে রয়েছে বায়োমেট্রিক তথ্য যা পাসপোর্টধারীর পরিচয় প্রমাণের জন্য ব্যবহার করা হয়। এতে মাইক্রোপ্রসেসর চিপ (কম্পিউটার চিপ) এবং অ্যান্টেনাসহ স্মার্ট কার্ড প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়। পাসপোর্টের তথ্য চিপে সংরক্ষণ করা হয়। বর্তমানে ই-পাসপোর্টে যেসকল বায়োমেট্রিক গ্রহণ করা হয় তা হল; ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও আইরিশ। "পাবলিক কী" অবকাঠামো এর মাধ্যমে পাসপোর্ট চিপ ইলেক্ট্রনিক ভাবে সংরক্ষিত ডেটা যাচাই করবে । এটি সম্পুর্ণরূপে বাস্তবায়িত হলে জালিয়াতি করা কঠিন। এ পর্যন্ত ১২০টি দেশে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন করা হয়েছে।

ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড-লাইসেন্সের আদলে তৈরি ওই মাইক্রোচিপে পাসপোর্ট ছাপা থাকা তথ্যের সঙ্গেই গ্রাহকের বিশেষ বায়োমেট্রিক তথ্যও রেকর্ডেড থাকবে-এমনটাই জানিয়েছেন বিদেশ দফতরের অধীনে থাকা সচিব সঞ্জয় ভট্টাচার্য টুইট করে। এছাড়াও থাকবে রেডিয়ো আইডেণ্টিফিকেশন তথ্যও। যে তথ্য পড়ার জন্য অ্যাপ্টিক্যাল রিডারের বদলে অত্যাধুনিক চিপ রিডার ব্যবহার করতে হবে। যার ফলে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে অনেক সহজে তা পরীক্ষা করাও সম্ভব হবে।
অন্যদিকে আশা করা যাচ্ছে নতুন এই ব্যবস্থা যথাযথ সময়ে পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। পাসপোর্ট সেবাকেন্দ্র নেই এমন প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রে পাসপোর্ট সেবাকেন্দ্র তৈরির ব্যপারেও পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে গ্লোবাল পাসপোর্ট সেবা প্রোগ্রামের সহায়তায় ১৭৬টি ইন্ডিয়ান মিশনের সঙ্গে যুক্ত করা সম্ভব হছে। তবে সব মিলিয়ে প্রযুক্তিগত দিক থেকে অন্ত্যন্ত উন্নতমানের হবে এই নতুন ব্যবস্থা।

ইতিমধ্যে একাধিক মহল থেকে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে, আধারের মতোই এই ই-পাসপোর্ট -এ থাকা গোপন ডিজিটাল গ্রাহকতথ্য কোন সংস্থার সার্ভারে জমা থাকায় তার অপব্যবহার বা চুরি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। যে ব্যাপারে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সুরক্ষা প্রশ্নে কোনও চিন্তা থাকার প্রশ্নই নেই।
“ই-পাসপোর্ট” এ একটি চিপ রয়েছে যা পাসপোর্টধারীর সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করে। এটিকে পাসপোর্টের পিছনে রাখা হয়। এটিকে ৬৪ কিলোবাইট স্টোরেজ স্পেস রয়েছে এবং এতে এমবেডেড আয়তক্ষেত্রাকার অ্যান্টেনাও রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ৩০ টি আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ডেটা চিপে উপস্থিত থাকবে। এছাড়াও পাসপোর্টধারীর ছবি এবং বায়োমেট্রিক ডেটার মতো আঙুলের ছাপ চিপে থাকবে। কেউ যদি এটি নিয়ে অনৈতিক কিছু করেন তবে পাসপোর্টের প্রমাণ করতে ব্যর্থ হবে।

Journalist Name : ADITI SARKER

Tags:

Related News