সোনা
পছন্দ করেন না পৃথিবীতে এমন
মানুষের সংখ্যা খুবই কম। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সোনা সকলেরই পছন্দের গয়না। আর এই ধাতুতেই
রয়েছে কিছু স্বাস্থ্যকর উপকারিতা। চিকিৎসক তথা বৈদিক অ্যাস্ট্রোলজি সকলেরই মতে যেকোনো ধাতুই শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারে। কারণ যে বিশেষ প্রক্রিয়ায়
ধাতুকে শোধন ও মারণের মাধ্যমে
ধাতুভস্ম করা হয় তা শরীরের
পক্ষে বিশেষ উপকারী। তবে সমস্ত ধাতুর রয়েছে কিছু আলাদা বৈশিষ্ট্য। যার মধ্যে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে সোনাকে বিশেষ উপকারী বলে মনে করা হয়। তাহলে আর দেরি না
করে জেনে নেওয়া যাক এই মূল্যবান ধাতুর
কিছু উপকারিতার কথা।
১.
শরীরের ব্যাথা যন্ত্রনা দূর করতে কার্যকরী-
বিভিন্ন
গবেষণা থেকে দেখা গেছে সোনায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যা শরীরে ব্যাথা
যন্ত্রনা, ফোলা ভাব দূর করতে কার্যকরী। পাশাপাশি খাঁটি সোনা শরীরের প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা নেয়। এছাড়াও সোনায় প্রাকৃতিক অ-বিষাক্ত খনিজ
রয়েছে যা শরীরে রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে।
২.
ত্বকের ক্ষত নিরাময়ে কার্যকরী-
চিকিৎসকদের
মতে সোনা শরীরে ক্ষত নিরাময়ে কার্যকরী ভূমিকা নেয়। তাই প্রাচীন চিকিৎসা শাস্ত্রে দেহের ক্ষত নিরাময়ে সোনার প্রলেপ ব্যবহার করা হতো। যা সংক্রমণ রোধ
করতে সাহায্য করে।
৩.
ফাঙ্গাস ইনফেকশন দূর করে-
বিভিন্ন
গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী সোনায়
রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা একজিমা, ছত্রাকের
সংক্রমণ বা ফাঙ্গাস ইনফেকশন,
ক্ষত, জ্বালা পোড়া ইত্যাদি ত্বকের সাথে সম্পর্কিত সমস্যার সমাধানে কার্যকরী। পাশাপাশি এটি শরীরের উষ্ণতা বাড়ায় ও স্নিগ্ধ কম্পন
সরবরাহ করে। যা শরীরের মৃত
কোষ পুনরায় জন্মাতে সাহায্য করে ও ত্বক উজ্জ্বল
করে তোলে।
৪.
মানসিক চাপ দূর করে ও শরীরকে চাঙ্গা
রাখে-
সোনায়
থাকা বিশেষ বিশেষ উপাদান মানসিক অবসাদ দূর করতে বিশেষ কার্যকরী। শুধু তাই নয় এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
হিসাবে কাজ করে ও ত্বকের কোষে
পর্যাপ্ত পরিমান অক্সিজেন সরবরাহ করে যা রক্ত সঞ্চালন
ঠিক রাখে। শরীরকে সতেজ ও চাঙ্গা রাখে।
৫.
মনোপজের সময় মহিলাদের জন্য উপকারী-
মনোপজ
হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে একজন মহিলার মাসিক হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। আর এর থেকে
মহিলাদের মধ্যে তৈরি হয় নানান রকমের
সমস্যা। আর চিকিৎসকদের মতে
মেনোপজের মধ্য দিয়ে যাওয়া নারীদের যাবতীয় সমস্যা কমাতে পারে সোনার গয়নার ব্যবহার।
৬.
অকাল বার্ধক্য ও বলিরেখা দূর
করে-
শরীরের
পাশাপাশি সোনা ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর করতেও কার্যকরী। সোনা শরীরে কোলাজেনের স্তর ধরে রাখতে সাহায্য করে এং আপনার ত্বককে
সতেজ রাখে, যার কারণে ত্বকে অকাল বার্ধক্যের সমস্যা দূর হয়। পাশাপাশি সোনা ত্বকের মৌলিক কোষগুলো কার্যকর রাখতে সাহায্য করে যা নমনীয়তা বৃদ্ধি
করে। এর ফলে বলিরেখা,
দাগ, ছোপ, এবং সূক্ষ্ম রেখা কমতে শুরু করে এবং আপনার ত্বক পরিষ্কার হয়৷
স্বাস্থ্যকর
উপকারিতার পাশাপাশি সোনার গয়না ব্যবহারে জীবন থেকে দূর হতে পারে কিছু সমস্যা। জানুন কী কী-
১.
সন্তানের লেখাপড়ার দিকে একাগ্রতা বাড়াতে সোনা হতে পারে জাদু কাঠি। সেক্ষত্রে লেখাপড়া করা ছাত্র ছাত্রীকে যদি সোনার মাদুলি বানিয়ে তাতে ইষ্টদেবতার ফুল দিয়ে গলায় পরিয়ে দেওয়া হয় তবেই মিলবে
উপকারিতা।
২.
বৈবাহিক জীবনে দাম্পত্য কলহ কমাতে সোনা বেশ উপকারী। সেক্ষত্রে সোনার সরু চেন বা লকেট পরলে
অনেক ক্ষেত্রে দাম্পত্য কলহ কমে যায়। জীবন সুখ শান্তিতে ভরে থাকে।
৩.
জীবনে সাফল্যের শিখরে পৌঁছাতে অনামিকা আঙুলে ধারণ করুন সোনার আংটি।
৪.
এছাড়াও কর্মে উৎসাহ ও আত্মবিশ্বাস গড়ে
তুলতে ব্যবহার করুন সোনার গয়না।