Flash news
    No Flash News Today..!!
Sunday, May 12, 2024

শীতের দিন রোগমুক্ত থাকতে ভরসা রাখুন আমলকিতে!

banner

#Kolkata:

বর্তমানে আধুনিক সভ্যতায় দাঁড়িয়ে মানুষের জীবন যাত্রা তথা খাদ্যভ্যাসে এসেছে নানান পরিবর্তন। যার জেরে বাড়ছে নানান রোগ ব্যাধিও। তার ওপর আবার শীতকাল। আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাথে বাড়ছে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যা। সাথে থাকছে মুঠো মুঠো ওষুধ। কিন্তু রোজ রোজ ওষুধ খাওয়া যেমন অস্বাস্থ্যকর তেমনই বিস্বাদ। অথচ আমাদের চারপাশে প্রকৃতির মাঝেই রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা বহু রোগ সারাতে সক্ষম। তাই এই সময় শরীরকে রোগ মুক্ত রাখতে খাদ্যতালিকায় রাখুন একটুকরো আমলকি। তাহলে আর দেরি না করে ঝট পট দেখে নিন আমলকির গুনাগুন। 

১. মুখের রুচি ফেরায়- 

শীতকালে আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে ঘরে ঘরে লেগে থাকে জ্বর, সর্দি কাশির মোত নানান সমস্যা। আবার সারাদিন শীতের গরম পোশাক বা লেপ কম্বলের গরমে দেখা দেয় পেট গরমের সমস্যা। আর এসব থেকেই আসে জ্বর। খিদে হীনতার সমস্যা। আর দিনের পর দিন না খেয়ে শরীর হয়ে পরে দুর্বল। তাই এই সময় মুখে রুচি ফেরাতে ভরসা রাখুন আমলকির জুসে। 


২. ফুসফুস ও হার্টের সমস্যা দূর করে- 

শীতকালে তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি বাতাসে বারে দূষণের পরিমান। যার ফলে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানির, ফুসফুসে সংক্রমণ, হার্টের নানান সমস্যা দেখা যায়। তাই ফুসফুস ও হার্টজনিত এসব সমস্যা দূর করতে সকালে খালি পেটে চিবিয়ে নিন এক টুকরো আমলকি। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ফুসফুসকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। 

৩. গ্যাস অম্বল অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করে- 

শীতকালে খাওয়া দাওয়ার পর সেরকম এক্সসারসাইজ না হওয়ায় পেট গরম কিংবা গ্যাস অম্বলের সমস্যা লেগেই থাকে। তাই শীতের দিনে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খালি পেটে খান আমলকি। সেক্ষেত্রে এক গ্লাস দুধ বা জলের সাথে আমলকির গুঁড়ো মিশিয়ে খান। সারাদিনে দুবার খেলে দূর হবে অ্যাসিডিটির সমস্যা। পাশাপাশি বাড়বে হজম ক্ষমতাও। 


৪. ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমা নিরাময়- 

সামনেই শীতকাল , ফলে এই ঋতু পরিবর্তনের সময় অনেকেই সর্দি-কাশিতে ভোগেন। সে ক্ষেত্রে রোজ আমলকি জুস পান করলে ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও এই জুস শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অত্যন্ত উপকারী। এর পাশাপাশি আমলকি মস্তিষ্কের দুর্বলতাও দূর করে। 

৫. মেদ ঝরাতে কার্যকরী- 

শীতের ঠান্ডার জেরে অনেকেই এক্সসাসাইজ করা বন্ধ করে দেন। যার ফলে প্রয়োজনীয় ক্যালোরি বার্ন না হওয়ায় বারে দেহের বাড়তি ওজন। তবে এক্ষেত্রে সাহায্য করবে আমলকির রস। এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফ্রি রাডিকালস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। অর্থাৎ অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে আমলকির জুড়ি মেলা ভার। এছাড়াও ত্বকের যৌবন ধরে রাখতে প্রতিদিন খাবারের তালিকায় রাখুন এক টুকরো আমলকি। 


৬. হাড় ও দাঁত সুস্থ রাখে- 

শীতের দিনে বাত ও গাঁটে ব্যাথার সমস্যা কিংবা দাঁতের শিরশিরানী ভাব থেকে মুক্তি পেতে খান আমলকি। এতে থাকা ফাইটো ক্যামিক্যাল দাঁত শক্ত করে দাঁতের শির শির ভাব কমায়। এছাড়াও রক্তে লোহিত রক্ত কণিকার মাত্ৰা বাড়ায় যা নখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। 

৭. রক্তে শর্করার মাত্ৰা নিয়ন্ত্রণে রাখে- 

আমলকিতে থাকা উপাদান রক্তে শর্করার মাত্ৰা নিয়ন্ত্রণে রাখে পাশাপাশি শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্ৰা কমায়। তাই যারা ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন খাওয়ারের সাথে খান এক টুকরো আমলকি। 


৮. মানসিক চাপ দূর করে- 

আমলকিতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। অনিদ্রা, ব্যাথা, বেদনা থেকে মুক্তি দেয়। এছাড়াও জ্বর, সর্দি, কাঁশি, মাথা ব্যাথা, মানসিক চাপ কমাতে রোজকার খাদ্যভ্যাসে রাখুন এক টুকরো আমলকি। 

৯. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি- 

নানান স্বাস্থ্যকর উপকারিতার পাশাপাশি আমলকি ত্বক ও চুলের জন্যও উপকারী। শীতকালের শুস্ক আবহাওয়ায় ত্বক একেবারে রুক্ষ শুস্ক হয়ে যায়। সেক্ষত্রে ত্বকের হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে আমলকির রসের সাথে মধু মিশিয়ে খান। 


Journalist Name : Sohini Chatterjee

Related News