#Pravati Sangbad Digital Desk:
বাঙালির রান্নাঘরে তেজপাতা নেই এমনটা দেখাই যায় না। তেজপাতা ফোড়ন হিসাবে রান্নায় ব্যবহার করা হয় রান্নার স্বাদ বাড়াতে। তবে এটি খাওয়া হয় না বরং পাতের সাইডে ফেলে রাখা হয়। তেজপাতা মাঝারি সাইজের রন্ধনসম্পর্কীয় ও ঔষধি গাছ। আর সেই গাছের পাতাই হল তেজপাতা। গাছের শুকনো পাতা হল আসল মশলা। এপ্রিল-মে মাসে গাছে নতুন পাতা আসে। মাংস থেকে মাছ, চা থেকে পায়েস, শরীর অসুস্থতায় কাড়া ব্যবহার সর্বত্র। রান্নায় তেজপাতা না থাকলে তা অসম্পূর্ণ বলে মনে হয়। এটি মশলা হিসাবে ব্যবহার করা হয়, এছাড়া এর মধ্যে রয়েছে নানা ঔষদি গুন। ভিটামিন ই এবং সি সমৃদ্ধ এই মশলায় রয়েছে ফলিক অ্যাসিড ও বিভিন্ন খনিজ উপাদান। এছাড়া এই গাছের ছাল ও গণরিয়া নামে যৌনরোগ সারাতে সাহায্য করে।
তেজপাতার উপকারিতাঃ
১) ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করে: তেজপাতা ফুটিয়ে খেলে ডায়বেটিস অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসে। এটি শরীরে আন্টিঅক্সিডেন্ট সরাবরাহ করে যা শরীরে ইনসুলিন তৈরী করতে সাহায্য করে। এর জন্য ১৫টি তেজপাতা ৩ গ্লাস জলে ফোটাতে হবে। ফুটিয়ে ১ গ্লাস জল করতে হবে। ঠান্ডা করে দিনে ২ বার পানীয় হিসাবে ব্যবহার করুন। এটি ১ মাস ব্যবহার করুন ভালো ফলাফলের জন্য।
২) ব্যাথা উপসমে সাহায্য করে: যে সব ব্যাক্তির গাঁটে ব্যাথা তারা এর ব্যবহার করতে পারেন। তেজপাতা তেলে ফুটিয়ে সেই তেলে ব্যবহার করুন ব্যাথানাশক হিসাবে।
৩) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: তেজপাতায় রয়েছে ক্যাফেয়িক এসিড, কুয়েবসেটিন, ইউগানাল, ক্যাটেচীন যা বিভিন্ন ক্যান্সারের প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে।
৪) হৃদপিন্ড ভালো রাখে: তেজপাতায় উপস্থিত সেলিসাইলেট, ফাইটোনিউট্রিয়েন্সস হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে ৩ গ্রাম তেজপাতা, ৪ মিলি গোলাপজল ও ৩০০ মিলি জল একসঙ্গে ফুটিয়ে ৭৫ মিলি করতে হবে এবং সেই জল সেবন করতে হবে।
৫) ওজন কমায়: ওজন কমাতে ৫গ্রাম তেজপাতা, এক টুকরো আদা, ২০০ মিলি জল ফুটিয়ে হাফ কাপ করতে হবে। এর সাথে মধু মিশিয়ে সেবন করলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরে যায়। এটি দিনে 2 বার ব্যবহার করতে হবে।
৬) পিরিয়ড স্বাভাবিক রাখে: তেজপাতা চিবিয়ে খেলে পিরিয়ড নিয়মিত ও স্বাভাবিক রাখে।
৭) চুলের সমস্যায় তেজপাতার ব্যবহার: চুল পড়া ও খুশকি দূর করতে তেজপাতা জলে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এবার শ্যাম্পু করার পর মাথা ধুয়ে এই জলে এবার মাথা ধুয়ে নিন।
৮) কাশি দূর করে: ২-৩টি তেজপাতা জলে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন। সেই জল কাপড়ে ভিজিয়ে বুকের উপর রেখে ভাব দিলে কাশি দূর হয়।
৯) এছাড়া, তেজপাতা সিদ্ধ করে সেই জলে শ্নান করলে ত্বকের এলার্জি দূর হয়।
১০) যারা অতিরিক্ত ঘামের সমস্যায় ভুগছেন তারা তেজপাতা বেটে শরীরে মেখে নিন, শুকিয়ে গেলে জলে ভালো করে ধুয়ে নিন। টানা ১ সপ্তাহ ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন।
১১) ফোঁড়া হলে যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাবার জন্য তেজপাতা বেটে ২-৩ বার প্রলেপ দিন। এতে যন্ত্রনা কমে যাবে।
১২) তেজপাতা জলে সিদ্ধ করে মুখে নিয়ে কুলিকুচি করলে মুখের দুর্গন্ধ ও অরুচি দূর হয়।
Journalist Name : Sayani Chatterjee