গরমকালে তরমুজর উপকারিতা ও অপকারিতা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

গ্রীস্মকালীন ফল তরমুজ। দেখতে গোলাকার অথবা ডিম্বাকার আকৃতির। ওজন ৫০০ গ্রাম থেকে ৫ কিলো ও তার অধিক। বাইরেটা সবুজ মোটা আবরণে আবৃত ভিতরটা লাল মিষ্টি দানাযুক্ত রসালো পদার্থ। এটি ফল ও সবজি হিসাবে ব্যবহার করা হয়। স্বাদে মিষ্টি, রসালো। তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পটাসিয়াম, ভিটামিন, মিনারেল, আমিনোআসিড, লাইকপ্রিন মতো উপাদান। এতে রয়েছে ৯২ শতাংশ জলীয় উপাদান যা শরীরের প্রয়োজনীয় জলের চাহিদা মেটায়। তরমুজ খেতে কেবল সুস্বাদু নয়, শরীর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো উপকারী। চর্বি  বা ফ্যাট নেই ওজন কমাতে সাহায্য করে। তরমুজ শরীরের অতিরিক্ত গরম কমিয়ে শরীরকে শীতল রাখে এতে রয়েছে বিটা কারোটিন ও প্রচুর আন্টিক্সিডেন্ট। এই মিষ্টি সুস্বাদু ফলের আদি বাসস্থান আফ্রিকাতে। পরে পৃথিবীর সব জায়গায় এর চাষাবাদ শুরু হয়েছে। তরমুজে রয়েছে নানা গুণাবলী ও উপকারিতা। আসুন সেগুলি কী কী জেনে নেওয়া যাক।
১) ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ : তরমুজ যেমন উপকারী তেমনি উপকারী তরমুজর দানা বা বীজ। এই বীজে থাকা লাইসিন উপাদান ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
২) গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকারী : তরমুজে থাকা মাগনাসিয়াম লোহা ও ফলেট উপাদান গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকারী।
৩) পেশির ব্যথা থেকে মুক্তি : আচমকা পেশির টান বা ব্যায়াম করার ফলে পেশির ব্যাথা জাতীয় অসুস্থতা তরমুজ খাওয়া উযুকারী। ব্যথা কমাতে এটি সাহায্য করে।
৪) রক্তচাপ কমাতে : উচ্চ রক্ত চাপে রক্তে উপস্থিত পটাসিয়াম ও সোডিয়াম মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। তরমুজে উপস্থিত পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যামিনো অ্যাসিড উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৫) ওজন হ্রাসে সাহায্য করে : তরমুজে প্রচুর পরিমানে জল থাকে যা শরীরকে ডি হইড্রেসান থেকে রক্ষা করে ও ক্ষিদে কমায়।
৬) হার্ট সুস্থ রাখে : তরমুজে কোলেস্ট্রেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে যা হৃদরোগ জনিত অসুস্থতা নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া এর মধ্যে উপস্থিত খনিজ উপাদান হার্টকে শক্তিশালী করে।
৭) মানসিক স্বাস্থ্য উন্নীতির ক্ষেত্রে তরমুজ ভালো কাজ করে।
৮) হাঁফানি থেকে মুক্তিতে সাহায্য করে।
৯) তরমুজে প্রচুর জল থাকে যা কিডনি ও চোখের জন্য উপকারী।
বেশি পরিমানে তরমুজ খাওয়ার অসুবিধা ও অপকারিতাঃ
১) হজমে গন্ডগোল : বেশি পরিমানে তরমুজ খেলে হজম গন্ডগোল দেখা দেই। বিশেষ করে ডায়রিয়া, খাবার হজম না হওয়া, চোনা ঢেকুর ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্টি হয়।
২) গ্লুকোজের স্তর বাড়ায় : বেশি পরিমানে তরমুজ খেলে শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ডায়বেটিস রোগী, গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এটি উপকারী তবে বেশি মাত্রায় খাওয়া উচিত নয়।
৩) হৃদরোগ : তরমুজের খনিজ উপাদান হার্টকে সুস্থ, সতেজ রাখে তবে বেশি মাত্রায় খেলে হার্টের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪) অতিরিক্ত তরমুজ খেলে শরীরে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি জলীয় উপাদান বেড়ে যায়। ফলে কিডনির সমস্যা দেখা দেয়।
৫) লাইকরোপিন নামক রাসায়নিক উপাদানের কারণে তরমুজের রং লাল হয় বেশি পরিমানে এই রাসায়নিক শরীরে প্রবেশ করলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাছাড়া, গবেষকদের মতে প্রতি ১০০গ্রাম তরমুজে ৩০ গ্রাম ক্যালোরি ৬ গ্রাম চিনি থাকে। একদিনে একজন ব্যক্তি ৫০০গ্রাম পর্যন্ত তরমুজ খেলে ১৫০ গ্রাম ক্যালোরি শরীরে প্রবেশ করে । কিন্তু এর থেকে বেশি খেলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। 

Journalist Name : Sayani Chatterjee

Related News