আফগানিস্থানে বন্ধ করে দেওয়া হলো আফিম চাষ

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আফিম উৎপাদন হয় আফগানিস্তানে। জাতিসংঘের সবশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২০ সালে সারাবিশ্বে উৎপাদিত মোট আফিমের প্রায় ৮৫ শতাংশই আফগানিস্তানে উৎপাদিত হয়েছে। জাতিসংঘের মাদক এবং অপরাধ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে আফিমের চাহিদার আশি শতাংশের বেশি আসে এশিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি থেকে৷ এই খাত থেকে দেশটির বাৎসরিক আয় ১.৬ বিলিয়ন ইউরো৷ পপি গাছ তথা আফিম চাষ দীর্ঘদিন ধরে আফগান জনগোষ্ঠীর আয়ের একটি বড় উৎস।দুনিয়ার সবচেয়ে বড় আফিম উত্পাদক দেশ আফগানিস্থান। ১৯৯৬সালে তালেবান যখন প্রথম দফা ক্ষমতায় আসে, তখন দেশটিতে আফিমের উৎপাদন অনেক কমেছিল৷ পাঁচ বছরের শাসনকালে বছরে মোট আফিম উৎপাদন ১৯৬মেট্রিক টনে নামিয়ে এনেছিল তখনকার তালেবান সরকার৷ কিন্তু তালেবান সরকারের পতনের পর আফগানিস্তানের কিছু অঞ্চলে আবার আফিমের চাষ বাড়তে থাকে৷ সরকারের চেষ্টা সত্ত্বেও আফিম চাষ তখন নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সামরিক কর্মকর্তা বলেন, মূলত তালেবানের সমর্থক অধ্যুষিত সেসব অঞ্চলে আফিম চাষ ক্রমাগত বেড়ে চলার কারণও তালেবান।

রবিরার সেখানেই আফিম-সহ সব ধরনের মাদকের চাষ বন্ধ করে দিল তালিবান। তালিবান সুপ্রিম লিডার হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার এক নির্দেশিকা অনুযায়ী, 'ইসলামিক এমিরেট অব আফগানিস্থানে দেশের জনসাধারণকে জানানো হচ্ছে, দেশজুড়ে পোস্ত চাষ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হল।' আন্তর্জাতিক মহলকে তুষ্ট করতে ২০০০সালেই মাদক চাষ বন্ধ করে দেয় তালিবান। কিন্তু এর ফলে দেশে প্রবল বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বাধ্য হয়েই রাশ হালকা করতে হয় তাদের। রাষ্ট্রসংঘের একটি হিসেব অনুয়ায়ী ২০১৭সালে আফগানিস্থানে আফিমের ব্যবসা হয়েছিল ১.৪বিলিয়ন ডলার। তার পর থেকে মাদকের উত্পাদন বেড়েছে। এবার তালিবানের শক্তি অনেকটাই বেড়েছে। তারপরেই আফিম চাষের উপরে আঘাত হানল তালিবান। তালেবান আবারও ২০০০সালের মতো আফিমের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেবে এমন সম্ভাবনা কম বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ আফগানিস্তানে এখন কর্মসংস্থানের সংকট রয়েছে। পপি চাষের মাধ্যমে অনেকেই ভাগ্য পাল্টানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।

Journalist Name : Aankhi Banerjee

Related News